আজমত উল্লা খানের প্রার্থিতা কেন বাতিল নয়, সিদ্ধান্ত আজ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার (৭ মে) বিকেল তিনটায় ইসিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে আজমত উল্লাকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। ব্যাখ্যা সন্তুষ্টজনক না হলে ইসি আইন অনুযায়ী তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে।
গত ৩০ মে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় ইসি আজমত উল্লাকে নির্বাচন কমিশনে তলব করে চিঠি দেয়। এরপর গত ৪ মে আবারও আজমত উল্লা আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন জরুরি বৈঠক করে তার প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারি দেয়।
প্রথমবার দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আপনার মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রাক্কালে সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউনের বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের গোচরীভূত হয়েছে। উল্লিখিত কার্যক্রম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৭, ১১ ও ১৩ এর পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধানসমূহ লঙ্ঘনের জন্য বিধি ৩১ অনুযায়ী দণ্ডারোপ বা বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গত ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ৩০ এপ্রিল স্মারকমূলে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। তা সত্ত্বেও আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি সভা করে মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। যেখানে মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খান উপস্থিত ছিলেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, এই কার্যক্রম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৫ এর পরিপন্থী। আচরণ বিধিমালার বিধি ৫ লঙ্ঘনের জন্য বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মো. আজমত উল্লা খানকে ইতোপূর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে নির্বাচনি প্রচারণা করার ফলে আচরণবিধিমালার ৫ বিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে আগামী ৭ মে বিকেল তিনটায় ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন আজ বৃহস্পতিবারের (৪ মে) সভায় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।