নাসিক নির্বাচন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তৈরি তিন স্তরকে করা হয়েছে আরও শক্তিশালী।
আগামীকাল নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও আনসার টিমের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটির মতো মোবাইল টিম থাকবে। ওয়ার্ডপ্রতি র্যাবের অন্তত একটি মোবাইল টিম এবং বিজিবির অন্তত একটি প্লাটুন থাকবে।
গতকাল শুক্রবার রাতে হেভিওয়েট দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনি সহিংসতার আশঙ্কার পর আজ শনিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম এ সব কথা জানান। আর, নাসিক নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেছেন, ‘সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পরিস্থিতি বেশ ভালো।’
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাঁচ শতাধিক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর আনাচে-কানাচে, অলিগলিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যোরা সতর্ক থাকবেন।
জায়েদুল আলম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসী এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় এ পর্যন্ত নির্বাচনি পরিস্থিতি খুবই ভালো। প্রার্থীরা কোনো ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। নগরবাসী একটি সুষ্ঠু পরিবেশ দেখছেন।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘অবাধ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থেকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনটি সারা দেশের জন্য মডেল নির্বাচন হিসেবে রূপ লাভ করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিলাম। ধীরে ধীরে আমরা সে বলয় আরও কঠোর করেছিলাম। এখন শেষ ধাপের কাজ চলছে।’
জায়েদুল আলম বলেন, ‘আজই পুলিশ সদস্যেরা প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পৌঁছে যাবেন। তাঁদের সঙ্গে আনসার সদস্যেরা এবং পুলিশের দুইটি বিশেষায়িত ইউনিট-আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যেরা কাজ করবেন।’
পুলিশ সুপার জায়েদুল আরও বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে অন্তত পাঁচ সদস্যের নেতৃত্বে অন্তত ১৫ জন আনসার সদস্য কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটির মতো মোবাইল টিম থাকবে, র্যাবের অন্তত একটি মোবাইল টিমও থাকবে। একই সঙ্গে প্রতি ওয়ার্ডে বিজিবির অন্তত একটি প্লাটুন রাখার চেষ্টা করা হবে।’