গাজীপুরে আজমত-জায়েদার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। সারা দেশের মানুষের চোখ এখন গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। এবারের নির্বাচনে কে জয়ী হবেন? কে হচ্ছেন গাজীপুরের তৃতীয় নগরপিতা। এখন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষা। তবে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্ল্যাহ ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা। ভোট নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন গঠিত হবার পর গাজীপুরের তৃতীয় নির্বাচন এটি।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করতে সরেজমিনে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। অন্তত পাঁচজন সাংবাদিক এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। অবশ্য দুজন বলেছেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে দুজনের মধ্যে। একজন বলেছেন, আজমত উল্লা খান জিতে যেতে পারেন।
এনটিভির গাজীপুর প্রতিনিধি নাসির আহমেদও একই কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচনে জায়েদা খাতুনের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ৪৮০টি। এর মধ্যে ৮০ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৩২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৩৫ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৫৬ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করেন ভোটাররা। নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল না প্রার্থীদের। আজ সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন নিয়ে বেশ তৎপর ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন অফিসে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করা হয়। ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে বেআইনিভাবে প্রবেশের অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশ।