নির্বাচনে লড়তে চান আড়াই হাজারের বেশি, দলের সংখ্যা অজানা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। বিকেল ৪টায় শেষ হয় মনোনয়পত্র জমা নেওয়া। এ সময়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত তথ্য বলছে, ৩০০ আসনে লড়তে চান আড়াই হাজারের বেশি প্রার্থী। যদিও কতোটি দল থেকে এসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা। বিভিন্ন সূত্র ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করলেও ইসি থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
আজ বিকেলে নির্ধারিত সময় শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করে, এই সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।’ অর্থাৎ, বিএনপি ও তাদের সমমনারা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তবে এই তফসিলে তা আর সম্ভব না।
যদিও ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। যদি শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে কোনো সমঝোতা হয়, সুশীল সমাজসহ দেশের অনেকে যদি চান, তখন কমিশন ভেবে দেখবে। যদিও ঘোষিত তফসিলে সেটা সম্ভব না। ফলে, ওই রকম পরিবেশ তৈরি করতে চাইলে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু, আপাতত এ ধরনের কোনো চিন্তা কমিশনের নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানাতে পারেননি কতটি দল এবং কতজন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছে। সে সময় সচিব বলেছিলেন, ‘বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০ আসনে সম্মানিত পদপ্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা রাত ১০ থেকে ১১টার দিকে জানতে পারব, কোন আসনে কোন রাজনৈতিক দল বা কোন কোন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। আমরা আাগামীকাল এটা আপনাদের বলতে পারব।’ পরে রাতে ইসি সচিবালয়ের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত তথ্য বলছে, দুই হাজার ৭৪১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়টাতে অনেক পদপ্রার্থী নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তবে, ছেড়ে দেয়নি ইসিও। নির্বাচনি অনিয়ম রোধে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি অন্তত ২১ জনকে তলব করেছে। কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই অনুসন্ধান কমিটি দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে ভোটের দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন তারা গণপতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী সাজা দেবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব বিপ্লব দেবনাথ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে কারণ দশানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা কারণ দর্শাবেন। তারপর হয়তো নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রথমবার প্রার্থীকে সতর্ক করে দেবেন। কিন্তু, প্রথমবার সতর্ক করে দেওয়ার অর্থ কিন্তু এই নয়; তিনি ছাড় পেয়ে গেলেন। কোনোভাবে যদি ওই প্রার্থী যদি পুনরায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বলে জরিমানাসহ তার প্রার্থীতা বাতিল করার বিধানও রয়েছে।’
যারা জমা দিয়েছেন মনোনয়ন