নারায়ণ চন্দ্র চন্দের আয় কমেছে, বেড়েছে ব্যাংক ঋণ
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ওপরই ভরসা রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগের তুলনায় এই প্রার্থীর আয় কমেছে। তবে, বেড়েছে নগদ অর্থ। ব্যাংকে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও কমেছে ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ। আর কৃষি ও অকৃষি জমির পরিমাণ আগে যা ছিল, সেটিই আছে।
এবারের হলফনামা অনুযায়ী, নারায়ণ চন্দ্রের বার্ষিক আয় ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ২১ লাখ ২৫ হাজার ৮১ টাকা। সে হিসাবে তার বার্ষিক আয় পাঁচ বছরে কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৮১ টাকা।
২০২৩ সালের হলফনামা বলছে, এম এ পাস নারায়ণ চন্দ্র প্রতি বছর কৃষি খাত থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা, ইট ভাটার ব্যবসা থেকে ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা হিসেবে ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেন।
২০১৮ সালের হলফনামায় নারায়ণ চন্দ্রের আয় ছিল কৃষি খাত থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা, ইট ভাটার ব্যবসা থেকে আট লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং মন্ত্রী হিসেবে ১১ লাখ ৮১ হাজার ৫৮১ টাকা।
বর্তমানে এই প্রার্থীর সম্পদের মধ্যে নগদ আট লাখ ৭৭ হাজার ২৬৬ টাকা, ব্যাংকে জমা ৫০ লাখ টাকা, ইলেক্ট্রিক সামগ্রী ৬০ হাজার। চার দশমিক ১৭ একর কৃষি জমির মূল্য দুই লাখ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা, অকৃষি জমির মূল্য চার লাখ ৮০০টাকা, একটি দালান ও একটি সেমিপাকা ভবনের মূল্য ৪২ লাখ ২৮ হাজার।
ব্যাংকে তার ঋণ এক কোটি ৯৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ টাকা। ব্যক্তিগত ধার আছে ১৫ লাখ টাকা।
২০১৮ সালে নগদ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার টাকা নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ২৬১ টাকা। ইলেক্ট্রিক সামগ্রী ছিল ৬০ হাজার টাকার। কৃষি জমি চার দশমিক ১৭ একরের মূল্য দুই লাখ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা, শূন্য দশমিক ৬৫ একর অকৃষি জমির মূল্য চার লাখ ৮০০ টাকা। একটি ভবন ও একটি টিন শেড সেমি পাকা ভবনের মূল্য ৪২ লাখ ২৮ হাজার।
এ সময়ে ব্যাংকে তার ঋণ ৮৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫৮ টাকা। ব্যক্তিগত ধার ছিল ৩৫ লাখ টাকা।