কুমিল্লায় ঈগল নিয়ে কাড়াকাড়ি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লায় ১১টি আসনে ৮৮ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার খন্দকার মু মুশফিকুর রহমান। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীক হিসেবে সবার একটাই চাওয়া ছিল ঈগল।
আজ দুপুর ১২টায় স্বতন্ত্রপ্রার্থী কুমিল্লা ৫ বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া আসনের সাজ্জাদ হোসেন, আবু জাহের ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদ ঈগল প্রতীকের আবেদন করেন। এ সময় শওকত মাহমুদকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবু জাহের ও সাজ্জাদ হোসেন আপত্তি জানান। তাদের আপত্তির জবাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, শওকত মাহমুদ আগের দিন আবেদন করেছেন তাই তাঁকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছি। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাহের বলেন, আমাদের বললে আমরাও আগের দিন জানাতাম।
এদিকে কুমিল্লা ১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মিজানুর রহমান ও নিজাম উদ্দীন ঈগল প্রতীক দাবী করেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে লটারী করেন৷ এতে ঈগল প্রতীক পান নিজাম উদ্দীন। নিজাম উদ্দীন বলেন, আমি আগে থেকেই ঈগল নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছি। তখন জেলা প্রশাসক বলেন, আমি জানলে অবশ্যই আপনাকে জরিমানা করতাম।
এদিকে সদর আসনে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা তার পছন্দের ঈগল প্রতীক পান। তিনি প্রতীক পাওয়ার আগেই তার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ঈগল প্রতীক নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, এক ঈগল প্রতীক নিয়ে সারা দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যা করল তা অশোভনীয়।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, যাদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েঢ়ি তাঁদের সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। তারা যেন প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন।