বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের আবেদনের ওপর আদেশ দেননি আদালত। এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে শাম্মীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ। এর আগে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। আবেদনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর একই আদালতে আবেদন করেছিলেন শাম্মী আহমেদ। এদিন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে শাম্মীর আবেদন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বহাল রেখে শাম্মীর রিট খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় শাম্মীর। আপিল আবেদন শুনানি করে এমন রায় দেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি)। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন শাম্মী।

এর আগে শাম্মী এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন ইসিতে। শুনানি শেষে শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিল হলেও বহাল থাকে পংকজের। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।

নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়। 

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মীর দেশটির দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর ইসি সচিবালয়ে পাঠানোর পর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর পংকজের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছিলেন শাম্মী আহমেদ।