শিক্ষকদের নির্বাচনি মতবিনিময় সভায় থাকতে বাধ্য করল শিক্ষক সমিতি
ঝালকাঠির রাজাপুরে আজ রোববার থেকে শুরু হওয়া উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সহকারি শিক্ষকদের কর্মশালায় আসা শিক্ষকদের নির্বাচনি মতবিনিময় সভায় থাকতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে লেখা ছিল মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম।
এই কর্মশালায় কর্মচারীদের থাকার কোন সুযোগ ছিল না বলে জানান শিক্ষক নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম।
কর্মশালায় আসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, সাতদিনের কর্মশালার প্রথম দিন ছিল আজ (রোববার)। প্রতিদিন সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কর্মশালা চলবে। প্রথম দিনের কর্মশালা শেষ হবার পর তাদের ঝালকাঠি-১ আসনের নৌকার আলোচিত প্রার্থী শাহজাহান ওমরের সভায় থাকতে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বাধ্য করেছে। তারা আধঘণ্টা আগেই কর্মশালার কাজ শেষ করে স্কুলের গেট তালা মেরে কাউকে যেতে দেয়নি।
রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু প্রমুখ। রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বিকেল ৫টার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান ওমর বলেন, বিএনপিতে আমিই ছিলাম এনার্জি হর্স। রাজাদের যুদ্ধ করতে হলে শক্তিশালী ঘোড়া দরকার। আমি চলে আসায় বিএনপিতে আর কোনো এনার্জি হর্স নেই।
কর্মশালা শেষে এ সভায় যোগ দিতে বাধ্য করানোর বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কর্মশালা শেষে শুধু শিক্ষকদের নিয়ে এখানে সভায় শাহজাহান ওমর সাহেব বক্তব্য দেন। বাধ্য করার প্রশ্নই ওঠে না। কর্মশালার শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছেন। সভায় ওমর সাহেব নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে শাহজাহান ওমরকে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।