পরিসর বাড়বে প্লাস্টিক পণ্যের মেলার, শুরু ২০ জানুয়ারি
এবার প্লাস্টিক পণ্যের মেলার পরিসর বাড়বে। এই মেলায় দেশি ও বিদেশি ৩০০টির বেশি স্টল থাকবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি এ মেলা চলবে।
২০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
মেলা উপলক্ষে গতকাল রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নেতারা এসব কথা জানান।
দেশে পাটের বস্তা ও ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে সরকার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে।
প্লাস্টিক পণ্যের মেলার আয়োজকরা বলছেন, প্লাস্টিক খাত কোনো খাতের (পাটের) প্রতিযোগী না। উন্নত বিশ্বের তুলনায় আমাদের দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক কম। পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আরো বেশি প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পারি।
মেলা উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্যের বাজার বাড়ানো ও নতুন বাজার সৃষ্টি করতে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার পরিসর বাড়বে। এবার চীন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়াসহ মোট ২২টি দেশ অংশ নেবে। দেশি-বিদেশি সব মিলিয়ে ৩০০টির বেশি স্টল থাকবে।
জসিম বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বার্ষিক প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব দেওয়া হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।’
প্লাস্টিক পাটের প্রতিযোগী নয় বলে মনে করেন জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিকের ব্যাগ ত্যাগ করে বাধ্যতামূলক পাটের ব্যাগ ব্যবহারে আইন করা হয়েছে। তবে পাটের প্রতিদ্বন্দ্বী প্লাস্টিক হতে পারে না। আমরাও চাই পাটশিল্প বাঁচুক। তবে তা প্লাস্টিককে পরিহার করে নয়। এ জন্য একটি প্যাকেজিং (মোড়কীকরণ) আইন করা প্রয়োজন। যেখানে কোনো পণ্যে কী ধরনের প্যাকেজিং হবে, তা উল্লেখ থাকবে।’
মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে। এ ছাড়া দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এতে অংশ নেবে।
মেলায় প্লাস্টিক পণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে। মেলার দ্বিতীয় দিন এক সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া মেলার চার দিনে প্লাস্টিক পণ্যের ওপর আন্তর্জাতিক মানের গবেষকরা আলোচনা সভায় বক্তব্য দেবেন। মেলার সমাপনী দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।