বন্ধ বস্ত্রকল বিক্রি নয়, লিজ দেওয়া হবে
দেশের বন্ধ সরকারি বস্ত্রকলগুলো বিক্রি করা হবে না, বরং লিজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সিবিশন ২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও চীনের টেক্সটাইল সংগঠন যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন,‘বস্ত্র ও পাটশিল্প এগিয়ে চলছে। এ খাত থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের উদ্দেশে কাজ করতে হবে। বর্তমানে দেশের এ খাতে ১৩ হাজার বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। তাঁরা যে বেতন পান তা দিয়ে তিন লাখ শ্রমিকের বেতন দেওয়া সম্ভব। দক্ষ জনবল তৈরি করতে দেশের বড় জেলাগুলোয় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা হবে। আর প্রত্যেক জেলায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি করে ভোকেশনাল কলেজ স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ৯টির কাজ চলছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি প্রতিটি বস্ত্রকল ৫০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বন্ধ হওয়া কোনো কল-কারখানা সরকার বিক্রি করবে না। ব্যবসায়ীরা চাইলে ছোট ছোট প্লটে এগুলো ব্যবসায়ীদের লিজ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকা, টাঙ্গাইল ও নারায়ণগঞ্জের আশপাশে প্রকল্প করতে চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে।’
বস্ত্রকল মালিকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈধ আর অবৈধ যেভাবেই হোক ভারত থেকে আমদানি করা সুতা বস্ত্র খাতের জন্য ক্ষতিকর হলে তা বন্ধ করা হবে। শিগগিরই বস্ত্র আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। এতে বিদ্যমান অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের জিডিপিতে টেক্সটাইল শিল্পের অবদান ১৩ শতাংশ। এ খাত রপ্তানি আয়ে ৮১ শতাংশ অবদান রেখেছে। ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি ডলার রপ্তানি আয় অর্জন করতে হবে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হবে।’
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন,‘নানা প্রতিবন্ধকতায় এ শিল্প এগিয়ে চলছে। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে গ্যাস সার কারখানায় দেবে না পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে দেবে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করা, পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।’
২৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে।
বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশের এক হাজার মেশিনারিজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ১৬টি হলে এক হাজার ২০০টি বুথ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে।