শেয়ার অতিমূল্যায়নে সূচক পতন : ডিবিএ
ভালো কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত হওয়ায় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ডিএবি সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতিঝিলের ডিএসই স্টেকহোল্ডারস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, কোম্পানির ভালো প্রাইস, ভালো বিনিয়োগকারী আনে। কোম্পানিগুলোকে লাভজনক করতে হবে। কোম্পানি লাভজনক হলে বাজার ভালো হবে।
ডিবিএ সভাপতি বলেন, ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট তথ্যভিত্তিক নয়। আইনের কোন বিষয় লঙ্ঘিত হয়েছে তা নিয়ে রিপোর্টে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্পর্কে ডিবিএর নেতারা বলেন, ভালো কোম্পানির আইপিও বাজারে আনার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা শুধু একটি পোস্ট অফিস মাত্র। মার্চেন্ট ব্যাংক, আন্ডার রাইটার ও ইস্যু-ম্যানেজারকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রয়োজনে তাদেরও জবাবদিহি ও আইনের আওতায় আনা উচিত।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সরকার, বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের প্রচেষ্টায় বাজার যখন স্থিতিশীল হতে যাচ্ছিল, তখনই ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্তের কারণে তিতাসের শেয়ারের দামে বড় পতন হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব সমগ্র বাজারের ওপর পড়ে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের এই ট্যারিফ সিদ্ধান্তের কারণেই সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদরের ব্যাপক পতন ঘটে। এর প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিহীন এবং বাজার সম্পর্কে আস্থাহীন হয়।
আহসানুল ইসলাম টিটু আরো বলেন, তথ্য উপাত্তহীন বক্তব্য বাজারকে ইমেজ সংকটে ফেলে। বাজার সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো সচেতন হতে হবে। আর রেগুলেটরদের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। অনুমাননির্ভর না হয়ে তথ্যভিত্তিক সমালোচনা হলে তা বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে। কয়েকটি কারণে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বাজার দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মোস্তাক আহমেদ সাদেক, মিনহাজ মান্নান ইমন, শাহেদ আবদুল খালেক, খুজিস্তা নূর-ই নাহরিন প্রমুখ।