নির্বাচনে প্রার্থীদের কোনো অভিযোগ নেই : সিএমপি কমিশনার
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপনির্বাচন নিয়ে কোনো প্রার্থীর কোনো ধরনের অভিযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপরে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভোট দিতে পারছে না, এরকম কোনো পরিস্থিতি হয়নি। নিরাপদ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা আশা করছি, শেষ পর্যন্ত এরকমই থাকবে। কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ পাইনি। খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি সব জায়গায় বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্ট রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনী কাজ করছে৷ এ ছাড়া জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।’
সকাল ৮টায় ১৯০টি কেন্দ্রের এক হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
জাতীয় নির্বাচনের আট মাস আগে অনুষ্ঠিত এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট পাঁচজন। আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে নোমান আল মাহমুদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে চেয়ার প্রতীকে সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোমবাতি প্রতীকে সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপি থেকে আম প্রতীকে কামাল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীকে রমজান আলী নির্বাচনে লড়েন।
এই আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ গত ৭ ফেব্রুয়ারি মারা গেলে শূন্য হয় আসনটি। অবশ্য মোছলেমও উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল এ আসনে নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুতে নতুন করে ভোটের প্রয়োজন হয়। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে যান মোছলেম উদ্দিন আহমদ। পরে তাঁর মৃত্যুতে নতুন করে ভোটের আয়োজন করতে হচ্ছে এই আসনে।