তিনদিনে মূলধন বেড়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত মঙ্গলবার থেকে ফুঁলে ফেপে উঠেছে পুঁজিবাজার। এরই ধারায় গত তিন কর্মদিবসে (৬ থেকে ৮ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক উত্থান হয়েছে ৬৯৫ পয়েন্ট। আলোচিত তিনদিনে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। চাঙ্গার ফলে সপ্তাহটির শেষ কর্মদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন বেড়ে ১৬ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে প্রধান সূচক উত্থানে পার করল গত সপ্তাহ (৪ থেকে ৮ আগস্ট)। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৭৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাজারে মূলধন বেড়েছে সাত দশমিক ৭৪ শতাংশ। কোম্পানির শেয়ারে দর উত্থান ৮২ শতাংশ।
এদিকে গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল সাত লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়ায় সাত লাখ তিন হাজার ৯১৩ কোটি আট লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে এই মূলধন ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ছয় লাখ টাকায়। সবশেষ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ৫০ হাজার ৫৪৫ কোটি দুই লাখ টাকা।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয় তিন হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহ থেকে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে ৯৪৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮৩৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৭৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪১৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৩৯টির বা ৮২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, দর কমেছে ৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ১৬টি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহটিতে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৫৯০ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৯২৪ দশমিক ৮১ পয়েন্টে। ডিএসই৩০ সূচক ২৩১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ১৩২ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১০৯ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ২৭৪ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসএমইএক্স সূচক ৭৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৪৪৬ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।