নৌ ধর্মঘটের কারণে আট জেলায় জ্বালানি তেলের সংকট
দেশব্যাপী গত বৃহস্পতিবার থেকে চলমান নৌধর্মঘটের কারণে ভৈরব-আশুগঞ্জসহ আট জেলায় জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। জাহাজ থেকে তেল ডিপোতে উত্তোলন করতে না পারায় এই সংকট হয়েছে।
জরুরিভাবে তেল সরবরাহের ব্যবস্থা না হলে আট জেলার জ্বালানি তেলনির্ভর সব পরিবহনই বন্ধ হতে পারে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে লাইটার জাহাজে আসা জ্বালানি তেল ভৈরবের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা এই তিনটি ডিপোতে উত্তোলন করা হয়। পরে ওই জ্বালানি তেল ভৈরব-আশুগঞ্জসহ কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নরসিংদী জেলায় সড়কপথে এবং সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরাঞ্চলের কয়েকটি উপজেলায় নদীপথে সরবরাহ করা হয়। ভৈরবের তিনটি ডিপোর ৩০ জন জ্বালানি তেল সরবরাহকারী নিজস্ব ট্যাকংলরি ও ট্রলারযোগে এসব এলাকার পেট্রলপাম্পসহ খুচরা ডিলারদের কাছে তেল সরবরাহ করেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী চলা নৌধর্মঘটের কারণে ভৈরবের তিনটি ডিপোতে জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার জাহাজ থেকে উত্তোলিত তেলের মজুদও এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ডিপোগুলো তেলশূন্য হয়ে পড়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ভৈরবের পদ্মা, মেঘনা ও যমুন তেল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জরা বলেন, তাঁদের ডিপোর মজুদ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অথচ ডিপোঘাটের নদীতে প্রতিটি ডিপোর জন্য আসা ৩০ থেকে ৩৫ লাখ লিটার তেল নিয়ে জাহাজগুলো ভাসছে। ধর্মঘটের কারণে তেল উত্তোলন করা যাচ্ছে না।
ভৈরব জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মোশাররফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, জ্বালানি তেল পরিবেশনের জন্য তাঁদের কয়েকশ ট্যাংকলরি ডিপোগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তেল বরাদ্দ না পাওয়ায় ডিলারদেরও তেল সরবরাহ করতে পারছেন না তাঁরা। এ নিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলার ডিলারদের মধ্যে এরই মধ্যে হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। তাঁরা মানসিক এবং আর্থিক দুই ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিকল্প পথে হলেও এই সংকটের সমাধান চান তিনি।