প্রতিক্রিয়া
শিক্ষকের শাস্তি হবে নাকি সাংসদের?
আমার দুই ছেলেমেয়ে। দুজনই পিঠাপিঠি। দুজনেই একসঙ্গে খেলে, মাঝেমধ্যে মারামারি করে। আবার একই সঙ্গে বিচার দেয়। একজন হয়তো আরেকজনের হাতে মার খেয়ে আমার কাছে বিচার দিল, অমনি আরেকজন এসে পুরোনো কোনো কাটাছেঁড়া বা খামচির দাগ দেখিয়ে পাল্টাপাল্টি বিচার দিতে থাকে।
আরেকটা ঘটনা বলি। আমার সন্তানরা প্রায়ই কোনো খেলনা প্রাণী এনে আমাকে ভয় দেখায়। আমি ভয় পাওয়ার অভিনয় করলে তারা বেশ মজা পেয়ে আরো ভয় দেখাতে থাকে। আর আমি ভয় পাওয়া বন্ধ করলে তারা উৎসাহ হারিয়ে একপর্যায়ে ভয় দেখানো বন্ধ করে দেয়। এটিই তাদের শিশুমনে উদ্ভাবিত খেলা।
এখন কথা হলো, নারায়ণগঞ্জে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার মতো একটি স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়ে লিখতে গিয়ে আমি কেন আমার সন্তানদের শিশুতোষ দুটি আচরণের বর্ণনা দিলাম? কারণ শিশুসুলভ এই দুটি ঘটনার সঙ্গে আমি নারায়ণগঞ্জের বর্তমান ঘটনার বেশ মিল পাচ্ছি।
প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ শহরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের সংসদ সদস্য ওসমান পরিবারের দুই ভাই। একজন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। আরেকজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। ফলে সেখানে চলে ওসমানি শাসন, ভয়ের শাসন। আমরা যত ভয় পাই, তারা ততই মজা পায়।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার তাঁরা লাঞ্ছনার শিকার প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত, শিক্ষকের পক্ষে বিচার চাওয়া জনগণকে ভয় দেখাতে ধর্মভিত্তিক একটি সংগঠন এবং নারায়ণগঞ্জের প্রায় সব ব্যবসায়ী সংগঠনকে মাঠে নামিয়েছেন।
কিছুদিন আগের ঘটনা। লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আমার এক স্কুলবন্ধু আমাকে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র সংগঠনের হাতে বিভিন্ন শিক্ষকের লাঞ্ছিত হওয়ার খবরের ছবিসহ একটা লিংক দেয়। লিংকের সঙ্গে ওর ভাষ্য, ‘তখন তো ওই শিক্ষকদের পক্ষে তোমরা কেউ দাঁড়াওনি, এখন এক শিক্ষক আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছে, আর তোমরা ওই শিক্ষকের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছো!’
একই সঙ্গে আমার বন্ধু বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন মতাবলম্বী ব্যক্তিরা ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি এবং তাঁদের শাস্তি দেওয়ার কিছু খবরের লিংকও পাঠিয়েছে। বুঝলাম, ও পুরোপুরি একমত অন্যদের মতো নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত আল্লাহকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে মনে পড়ছে জেমস বন্ড সিরিজের ‘টুমরো নেভার ডাইজ’ চলচ্চিত্রের কথা। এই চলচ্চিত্রের খলনায়ক মিডিয়া মোগল এলিয়ট কার্ভার। এতে সংবাদ লেখা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন খলনায়ক কার্ভার। সাংবাদিকতা শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ একটি তাত্ত্বিক বিষয় ‘ষড়-ক’ বা ‘ফাইভ ডব্লিউ ওয়ান এইচ’। এই ‘ষড়-ক’ হলো ‘কে’, ‘কী’, ‘কখন’, ‘কেন’, ‘কোথায়’ ও ‘কীভাবে’। ছবিতে মিডিয়া মোগল কার্ভার বলেছেন, একটা খবরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘কেন’।
এই ‘কেন’ শব্দটি মাথায় রেখেই আমি যদি প্রশ্ন করি, নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন ‘কেন’? এর উত্তরে সাংসদ সেলিম ওসমান ও ধর্মভিত্তিক ওই সংগঠনের জবাব : তিনি আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন।
আমার এরপরের প্রশ্ন, ১৭ বছর একই স্কুলে শিক্ষকতা করে যাওয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে হঠাৎ এই অভিযোগ উঠল ‘কেন’? আমার এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন শ্যামল কান্তি ভক্ত নিজেই। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক পদে তাঁর বোনকে বসাতে চান। আর স্কুলের তহবিলে ৫০ লাখ টাকা এসেছে। তাঁকে সরিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করতে চান ব্যবস্থাপনা কমিটির ওই সভাপতি ও আরো দুই সদস্য। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁকে সরাতে চান তাঁরা।
আলোচিত এই ঘটনার পর থেকে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং অভিযুক্ত দুই সদস্যের বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমে নেই। সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, এই তিনজন পলাতক। ‘কেন’ তাঁদের পালিয়ে থাকতে হচ্ছে! তবে কি তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের আনা সব অভিযোগই সত্য!
এবার আসি শিক্ষকের হাতে ‘নির্যাতিত’ স্কুলছাত্র রিফাত প্রসঙ্গে। ৮ মে ঘটনার দিন শ্রেণিকক্ষে অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। কিন্তু শুধু এই শিক্ষার্থীর কথার ওপর ভিত্তি করে সাংসদ সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জের পুরো ব্যবসায়ী সমাজ এবং ধর্মভিত্তিক ওই সংগঠন বলছে, ‘ওই শিক্ষক আল্লাহকে অবমাননা করেছেন। সুতরাং, সেলিম ওসমান কটূক্তিকারী শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে ঠিক কাজ করেছেন।’
এদিকে স্কুলছাত্র রিফাত বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে নানা রকম কথা বলে যাচ্ছে। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, কিশোর ছাত্রটি বিভিন্নজন বা গোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা কথা বলছে। সরকার বা প্রশাসনের উচিত ছিল, স্পর্শকাতর এই ঘটনাটির ক্ষেত্রে নিগৃহীত শিক্ষকের সঙ্গে ওই কিশোর ছাত্রের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। এখনো সময় আছে, প্রশাসনের উচিত হবে দ্রুত রিফাতকে হেফাজতে নিয়ে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং তার কাছ থেকে প্রকৃত সত্যটি জেনে নেওয়া।
ধর্ম নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলে দেশের প্রচলিত আইনেই তাঁকে শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। গত কয়েক মাসে এমন বেশ কয়েকজন শিক্ষক শাস্তিও পেয়েছেন। সুতরাং কোনো ব্যক্তি, বিশেষ করে শিক্ষক ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবেন আর সরকার তাঁকে ছেড়ে দেবে এটা আমি মনে করি না।
কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেত্রে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে যেভাবে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়ানো হয়েছে; বিশেষ করে যেভাবে পরিচয় গোপন করে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে লোকজন জড়ো করা হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি বেশ সন্দেহজনক।
দীর্ঘদিন সারা দেশের খবর সম্পাদনা করার অভিজ্ঞতায় আমি বলতে পারি, শ্রেণিকক্ষে কোনো শিক্ষক ধর্ম বিষয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিলে তা ‘সুপারসনিক’ গতিতে ছড়ায়। হিন্দু শিক্ষকের ক্ষেত্রে তো ‘আলোর গতিতে’ ঘটনাটি ছড়িয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ঘটনা অনুযায়ী, গত ৮ মে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত শ্রেণিকক্ষে ছাত্র রিফাতকে মারধর করেন। পরে রিফাত দাবি করে, প্রধান শিক্ষক ওই দিন তাকে মারধরের পাশাপাশি আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেন।
রিফাতের এই অভিযোগ ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ মে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানলেন না। তারা সবাই জানলেন ১৩ মে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়ার পর। এই ঘটনাও সন্দেহজনক ও অবিশ্বাস্য। শিক্ষক সত্যি সত্যি কোনো কটূক্তি করলে এটা ৮ মে পুরো বন্দর উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ত এবং ৯ মে তার বিরুদ্ধে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হতো। কিন্তু তা হয়নি।
এখানে সন্দেহজনক বিষয়টি হলো, দশম শ্রেণির যে ছাত্রটি দুই সপ্তাহ আগের কটূক্তির অভিযোগে এখন ধর্মভিত্তিক ওই সংগঠনের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে পারছে; কিন্তু ঘটনার পরে সেই ছাত্র এবং ক্লাসভর্তি তাঁর সহপাঠীরা বিষয়টি নিয়ে টুঁ শব্দটিও করেনি। এ ছাড়া যে গ্রামের লোকজন ‘অপরিচিত’ কণ্ঠে মাইকে ধর্ম অবমাননার কথা শুনেই দৌড়ে এসে স্কুলঘরের দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষককে পিটুনি দেয়, সেই গ্রামে শিক্ষার্থীদের সামনে একজন শিক্ষকের ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তির পরের পাঁচদিন বিষয়টি একেবারেই জানাজানি হয়নি-এটাও অবিশ্বাস্য।
পুরো বিষয়টি মঞ্চস্থ হয়েছে ১৩ মে শুক্রবার সকালে বিদ্যালয়ের পূর্বনির্ধারিত উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে এক সভায়। সভার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. রিফাতকে গত ৮ মে শ্রেণিকক্ষে ‘মারধর করার’ অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সভায় হাজির করা হয় ছাত্র রিফাত ও তার মা রিনা বেগমকে।
আবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুলের সামনের একটি মসজিদ থেকে হঠাৎ করেই মাইকে ঘোষণা করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন এবং সেখান থেকে এলাকাবাসীকে স্কুল মাঠে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এরপরের ঘটনা সবার জানা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দলে দলে স্কুলে ঢোকে ‘হুজুগে’ এলাকাবাসী। তাঁরা স্কুলের দরজা ভেঙে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে এবং তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। সংসদ সদস্য উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠ-বস করার শাস্তি দেন। কান ধরে ওঠ-বসের পর সমবেত জনতার কাছে করজোড়ে মাফ চাইতেও বাধ্য করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। পরে সংসদ সদস্যের নির্দেশে প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হেফাজতে স্কুল থেকে বের করা হয়। এরপর পুলিশ চিকিৎসার জন্য তাঁকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এরপর ওই শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। একজন আইনপ্রণেতা একজন প্রধান শিক্ষককে এভাবে শাস্তি দিতে পারেন এটা কারো কল্পনায়ও ছিল না। অনেকে কান ধরে ফেসবুকে ছবি তুলে প্রতিবাদ জানালেন, নামলেন রাস্তায়।
আর অন্যদিকে সাংসদ সেলিম ওসমান এতে খুব ‘মাইন্ড’ করলেন। ১৮ মে তিনি প্রথমে তাঁর নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের আওতাধীন সব ব্যবসায়ী সংগঠনকে মাঠে নামালেন। ব্যবসায়ী নেতারা মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করলেন, সেলিম ওসমান ওই দিন শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে ঠিক কাজ করেছেন, ওই শিক্ষকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
পরদিন ১৯ মে সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে অবমাননার কোনো প্রমাণ পায়নি।
শিক্ষামন্ত্রী পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে তাঁর পদে বহাল করেন।
এরপর পাল্টে গেল দৃশ্যপট। ওই দিনই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করায় তাঁকে (শ্যামল কান্তি ভক্ত) এ শাস্তি দিয়েছি। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার লোক জড়ো হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। সেই জনরোষ থেকে তাঁকে বাঁচানোর জন্য এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
এর পরদিন ২০ মে ধর্মভিত্তিক ওই সংগঠনের নেতারা নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ এনে তাঁর শাস্তি ও শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। আর আজ ২২ মে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা আবার মাঠে নামলেন। আজ মানববন্ধন করে উল্টো অভিযোগ করলেন, ওই শিক্ষক ধর্ম অবমাননা করেছেন। সেই সঙ্গে আরো অনেক অভিযোগ করলেন। তাঁরা সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের কিছু হলে নগরীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী গাড়ি, ক্যাবল নেটওয়ার্ক বন্ধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুমকি দিলেন।
এখন যেটা বোঝা যাচ্ছে, তা হলো সাংসদ সেলিম ওসমান, তাঁর ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও ধর্মভিত্তিক ওই সংগঠনের নেতারা, যেভাবেই হোক প্রমাণ করবেন, ওই শিক্ষক আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। সুতরাং শাস্তি দিয়ে সেলিম ওসমান ঠিক কাজ করেছেন।
এখন দেখার বিষয়, কোনটি হবে। শিক্ষকের শাস্তি? নাকি সাংসদ সেলিম ওসমানের?
লেখক : সাংবাদিক