করারোপের নতুন ক্ষেত্র নির্ধারণের আহ্বান
আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে করের আওতা বাড়ানোর সঙ্গে করারোপের নতুন ক্ষেত্র তৈরির দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে ২৩ ভাগ বেশি। যা বর্তমান জিডিপির ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ জন্য করারোপের নতুন ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। রাজস্ব আহরণের আওতা না বাড়ানো গেলে এ লক্ষ্য অর্জন বেশ কষ্টসাধ্য হবে।
এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের বৃহৎ এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সম্ভাবনাময় উৎসগুলোকে চিহ্নিত করার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। পাশাপাশি ভ্যাট হতে ৭৪ হাজার কোটি টাকা আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা সাধারণ করদাতাসহ ভোক্তা শ্রেণির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। বাজেটে শুধু আয়কর হতে ৭৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় এবং অনুন্নয়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা সীমিত রাজস্ব আদায়ের কারণে অর্জিত হয়নি। একই সঙ্গে এবারের বাজেট প্রস্তাবনা সাধারণ করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা সৃষ্টি করতে পারে বলেও মনে করে ডিসিসিআই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির প্রকল্পের খরচ মেটানোর জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, এনবিআরের রাজস্ব আহরণ এবং এনবিআর বহির্ভূত রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনাকে পুনর্বিন্যাস দরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ জন্য সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাজেট পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করা জরুরি। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে করে আওতা বাড়ানোর বিষয়ে সবাইকে সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, আভ্যন্তরীন সম্পদ ব্যবহার এবং রাজস্ব আহরণের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা না হলে কর প্রদানকারীদের ওপর আরো চাপ তৈরি করবে।