১৩ দিন পর নিজ কার্যালয়ে কুবি উপাচার্য
শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মুখে ১৩ দিন পর তালা ভেঙে নিজ কার্যালয়ের প্রবেশ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্য ও আত্মীয়করণের অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণের দাবিতে গত ৮ মার্চ থেকে কার্যালয় তালা মেরে অবরুদ্ধ রেখেছিল শিক্ষক সমিতি।
আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতৃত্ব, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে উপাচার্যকে কার্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ করে দেন।
এর আগে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা লাগানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন শাখা ছাত্রলীগ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে শিক্ষক সমিতি উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসে লাঞ্ছনার ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের বিরোধিতা করে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নামে কতিপয় বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষক সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে, সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে। কিছু অযৌক্তিক দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করা যায় না।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবন্দ কার্যালয়ের তালা ভেঙে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফকে নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
এদিকে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে শিক্ষক সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তা ছাড়া গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর খলিলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র নন্দীর নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমি অবগত নই।’
জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসে বলেই আমাকে কার্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। গুটিকয়েক শিক্ষক ছাড়া সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল চায়।’