পেঁয়াজের ঝাঁঝ বাড়ছেই, ডিম-সবজিতে স্বস্তি
পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় ক্রেতাদের কম করে পেঁয়াজ কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন দোকানিরা। সপ্তাহান্তে খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আর মিনিকেট চাল প্রতি কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। তবে স্বস্তি ডিমের বাজারে। আর মৌসুম হওয়ায় শীতের সবজির দামও কমতির দিকে।
বাঙালির রান্নায় প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ পেঁয়াজ। প্রায় দুই মাস ধরে পেঁয়াজের দামের লাগামে কিছুতেই টান পড়ছে না। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলছে। তবে সামনে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ উঠলে দাম কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের পেঁয়াজ সেই দেশেই দাম বেশি। তাই বাংলাদেশেও দেশে দাম বেশি। দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ।
পেঁয়াজের এক নেতা ক্রেতা বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ নেব তার চেয়ে কম নিচ্ছি।’
কয়েক মাস ধরে চালের বাজার ছিল অস্থির। সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার পর কিছুটা দাম কমলেও বাড়তি দামই গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। মিনিকেট চাল প্রতি কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা।
এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, মিল মালিকরা বলছে ধানের দাম বেশি। ভারত থেকে চাল আসত, তার দাম বেশি।
এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি তো খুব ফেডআপ হতাশ। একটা সিন্ডিকেশনের কারণে বাজার একই আছে।’
আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কিছুটা স্বস্তি ডিমের বাজারে। সরবরাহ বেশি থাকায় ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। তবে লোকসানের মুখে পড়ছে খামারিরা। সম্প্রতি বন্যা ও সরবরাহ কম থাকায় হাঁস ও মুরগির দাম বাড়তি।
এক ডিম বিক্রেতা বলেন, গরিব-ধনীর সবার খাওয়ার যোগ্য আছে বর্তমানে। শীতের সময় তো খুব আমদানি।
শীতের মৌসুমে সবজির বাজার ভরপুর। বন্যার পর ব্যাপক ফলন হওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ রয়েছে বেশি। ফলে দাম স্থিতিশীল।