ডিএসইতে লেনদেন সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা ছাড়াল
শেয়ারবাজারে আজ সোমবার উল্লম্ফন দেখা গেছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। তবে লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩০ পয়েন্ট বেড়েছে। আর লেনদেন পেরিয়েছে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
ডিএসইতে আজ নির্ধারিত সময়ের পৌনে দুই ঘণ্টা পর সোয়া ১২টায় ডিএসইর লেনদেন শুরু হয়েছে। লেনদেন শেষ হয় বিকেল সোয়া ৪টায়। স্বাভাবিক নিয়মে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চলে।
মূলত প্রতিদিন লেনদেন শুরুর আগে ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে পাওয়া ম্যাচিউরড শেয়ার ও অর্থের তথ্য ডিএসইর মূল সার্ভারে আপলোড করা হয়। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করা যাচ্ছিল না। এতে গতকাল রোববারের মতো আজও ডিএসইতে লেনদেন শুরু করতে বিলম্ব হয়।
গতকাল দুপুর ২টা ২০ মিনিটে লেনদেন শুরু হয়। মোট এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটে গতকাল লেনদেন হয় ৩৪৩ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আজ লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে, যা শেষাবধি অব্যাহত ছিল। ফলে মূল্যসূচকেও গতি আসে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩০.৩৯ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে দাঁড়িয়েছে ৪৬১৫.০১ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ৫৩.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৩৬.৩১ পয়েন্ট ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৭.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১১০৮.৮৩ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে।
আজ ২১ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৩টি সিকিউরিটি মোট ৮৫৫ ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৫১২ কোটি ৬১ লাখ টাকা বেশি। লেনদেন হওয়া ৩১৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪১টির, কমেছে ৫৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৯টির দাম। আজ ‘এ’ ক্যাটাগরির ২০৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটলেও আজও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন যথাসময়ে শুরু হয়েছে। সিএসইতে ১০৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি। লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৭টির, কমেছে ৬১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দাম।
ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- কেপিসিএল, ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসসিসিএল, এএফসি এগ্রো, আরএকে সিরামিকস, বেক্সিমকো লিমিটেড, বারাকা পাওয়ার, সাইফ পাওয়ার, এমজেএল বিডি ও ইউনিক হোটেল।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- সপ্তম আইসিবি, ফ্যামিলিটেক্স, বিএসআরএম লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড, এইচআর টেক্সটাইল, বেক্সিমকো লিমিটেড, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, জিবিবি পাওয়ার ও কেয়া কসমেটিকস।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো শ্যামপুর সুগার, মুন্নু স্টাফলার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, আইসিবি সোনালি বন্ড, এনটিসি, ইফাদ অটোস, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর ও কেঅ্যান্ডকিউ।