দ্বিতীয় দিনের মতো ফেরিঘাটে জড়ো হলেন ভোলার পোশাকশ্রমিকরা
পোশাক কারখানা চালুর ঘোষণায় চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। তারা পুলিশের বাধায় লুকিয়ে ফেরিঘাট পর্যন্ত এলেও শেষ রক্ষা হয়নি। একদিনে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, অন্যদিকে ফেরিতে উঠতে না দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা। জানিয়েছে তাদের অসহায়ত্বের কথা।
আজ সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত পোশাক শ্রমিক ঢাকায় যাওয়ার জন্য ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে এসে জড়ো হন। তাদের উদ্দেশ্য যেকোনোভাবেই হোক ঢাকায় পৌঁছানো। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। বাড়ি থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলেও ফেরিতে উঠতেই বাধা দেন পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
পোশাক কারখানাসহ কলকারখানা সীমিত পরিসরে চালুর ঘোষণায় ফেরিতে করে লক্ষ্মীপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়া যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। যাদের অধিকাংশ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কর্মরত। ফেরিতে উঠতে না পারায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে দায়িত্বরত কোস্টগার্ড দক্ষিণে জোনের পেটি অফিসার জাহিদ মিয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাস যাতে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্যই টহল জোরদার করা হয়েছে। নদী পথেও আমরা টহল জোরদার করেছি। সরকার যতদিন না পর্যন্ত এই লকডাউন শিথিল করবে ততদিন আমাদের টহল অব্যাহত রাখব।’