ঢাবিতে বিভাগ চাইলে সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো বিভাগ যদি মনে করে আগামী জুলাই থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেবে তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে বাধা দিবে না। তবে শিক্ষার্থীরা হলে থেকে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। সব শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত হওয়ার পর পরই তারা হলে উঠতে পারবেন বা হল খুলে দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রব্বানী। সভায় সভাপতিত্ব করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখাতরুজ্জামান।
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, ১ জুলাই থেকে পরীক্ষা নিতে পারবে বিভাগগুলো। স্নাতকোত্তর ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দিয়েই পরীক্ষা শুরু করা যাবে। এ ছাড়া সেমিস্টার পদ্ধতিতে ছয় মাসের পরিবর্তে চার মাস এবং বাৎসরিক পদ্ধতি হবে আট মাসে।
এ ছাড়া, ছুটি বা অন্যান্য বন্ধের দিনেও ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে বাধা দেখছে না একাডেমিক কাউন্সিল। কারণ, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তা হতে পারে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজ বুধবার রাতে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘করোনার সময়ে সবকিছু বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়েছে। এ কারণে আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি যতে শিক্ষার্থীরা সেশনজট কাটিয়ে উঠতে পারে।’
এ সময় হল খোলার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেশনের পরে হল খোলা হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। খুব দ্রুতই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে।’
এদিকে, হল খোলার দাবিতে স্বোচ্ছার ছাত্র সংগঠনগুলো। তারা এই দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।