ভোমরা বন্দরে এক সপ্তাহ আটকা ফলবাহী ভারতীয় ৮ ট্রাক
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে এক সপ্তাহ ধরে আমদানি করা ভারতীয় ফলবাহী আটটি ট্রাক আটকে আছে। এসব ফল আমদানিকারকদের কাছে মোটা অঙ্কের আমদানি শুল্ক বকেয়া থাকায় তাদের লাইসেন্স ও কার্যক্রম সিলড করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এসব গাড়িতে রয়েছে খেজুর, টমেটো, আনারসহ বিভিন্ন ধরনের ফল।
ভোমরা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আমির মাহমুদ বলেন, ‘২৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বকেয়া শুল্ক হিসেবে ১০ কোটি টাকা পায়। তিন বছর ধরে এই টাকা বকেয়া থাকলেও আমদানিকারকরা তা পরিশোধ করছে না। এ কারণে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২৫টি লাইসেন্স ও তাদের কার্যক্রম সিলড করে রেখেছে।’
আমির মাহমুদ আরও বলেন, ‘পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এসব ট্রাক আটকে থাকবে।’ তিনি আরও জানান, এসব পণ্য নষ্ট হওয়ার আগেই নিষ্পত্তি না হলে আইন অনুযায়ী নিলামে বিক্রি করা হতে পারে।
যেসব আমদানিকারকের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হলো বিকে ট্রেডার্স, খান এন্টারপ্রাইজ, জাহান ট্রেডিং, মাসুম এন্টারপ্রাইজ, মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ, প্রমি এন্টারপ্রাইজ, রাহা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, এ্যানি এন্টারপ্রাইজ, দাসবেদাস এন্টারপ্রাইজ, ফরিদা এন্টারপ্রাইজ, কেপি এন্টারপ্রাইজ, এনপি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, পিএইচকে ট্রেডার্স, ঊষা ট্রেডিং, কে হাসান ট্রেডিং, সিদ্ধার্থ এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ফল ভাণ্ডার, করবো এন্টারপ্রাইজ, আরআর ব্রাদার্স, রিফাত এন্টারপ্রাইজ, সোনালী ট্রেড, উড অ্যাপেল, আরতি ইনটেক্স, এ আর ট্রেডার্স ও পারভেজ ট্রেডিং।
এদিকে, আমদানিকারকদের দাবি, তাদের কাছে কোনো টাকা বকেয়া নেই। তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো বন্দর দিয়ে এসব আমদানিকারক তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবেন না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।