আরবের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক আল-কিন্দি

Looks like you've blocked notifications!

আরববিশ্বের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক আল-কিন্দি। ক্রিপ্টোগ্রাফির জনক আল-কিন্দি। ওষুধের কার্যকারিতা পরিমাপকারী যন্ত্রের আবিষ্কারক আল-কিন্দি।

আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইশহাক আল-কিন্দি আরবের বসরায় মেসোপটেমিয়ার নিকটবর্তী কুফা নগরীতে ৮০১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। আরব আদিবাসী  কিন্দা গোষ্ঠীর বংশভুক্ত ছিলেন। তিনি একাধারে দার্শনিক, বিজ্ঞানী, সংগীতজ্ঞ, যুক্তিবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ ছিলেন।

আরব ইতিহাসের প্রথম দার্শনিক ছিলেন তিনি, পেরিপ্যাটেটিক দর্শনের জনক বলা হয় তাঁকে। নবম শতাব্দীতে তিনি আরবি অনুবাদের মাধ্যমে গ্রিক দর্শন, গণিত, নিওপ্লাটোনিস্ট ও এরিস্টটলের কাজগুলোকে মুসলিম-জগতে প্রচার করেছিলেন। তাঁকে ক্রিপ্টোগ্রাফির জনক বলা হয়ে থাকে। এরিস্টটলের মেটাফিজিস্ক বা তত্ত্বকথার আরবি অনুবাদ করছিলেন তিনি। বিশ্বজগতের রহস্য উদঘাটনের যে কার্যকারণ-তত্ত্ব, সেটাকে ব্যাখা করেন। তাঁর মতে, এ জগতের কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। স্রষ্টা নিজ ইচ্ছায় গড়েছেন, নিজ ইচ্ছায় তা ধ্বংস করবেন।

তিনি প্রথম ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিকে মুসলিম ও খ্রিস্টান বিশ্বে পরিচিত করে তোলেন। কয়েকটি নতুন গাণিতিক পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছিলেন, যার মধ্যে কম্পাঙ্ক বিশ্লেষণ পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য। গণিত ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের জ্ঞানকে ব্যবহার করে তিনি ওষুধের কার্যকারিতা পরিমাপক যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, সঠিক দার্শনিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট এবং নির্ভরযোগ্য জ্ঞানের আশ্রয় নিতে হবে। এ জন্যই তিনি দর্শনে গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহারের পক্ষপাতী ছিলেন। অনেক ইসলামী চিন্তাবিদের মতে, তিনি ধর্মতত্ত্বের সাথে দর্শনের সম্পর্ক নির্ণয়ের চেষ্টা করছিলেন।

দর্শনশাস্ত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে দ্য আরব ফিলোসফার বলা হয়ে থাকে। তিনি ৮৭৩ সালে বাগদাদে মৃত্যবরণ করেন।

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া, Abu Rida, M. A. H.(ed), 1950,  Al-Kindi, Rasa'il  al-kindi al-falsafiyya, vol. 2. Adamson, P. And Promann, P.E., 2012, The philosophical works of Al-Kindi, Karachi: Oxford University Press.