বন্ধু দিবস

আরো কিছুক্ষণ থাক, বন্ধু বলে ডাক

Looks like you've blocked notifications!

‘দেখা হবে বন্ধু, কারণে আর অকারণে,

দেখা হবে বন্ধু চাপা কোনো অভিমানে,

দেখা হবে বন্ধু সাময়িক বৈরিতায় অস্থির অপারগতায়...’

পার্থ বড়ুয়ার গানটি শাশ্বত বন্ধুত্বের অসীম অমরত্বের কথা জানান দেয় প্রতিটি প্রাণে। প্রতি আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস পালন করা হয়। বন্ধু কে? এ প্রশ্নের উত্তর যদি কাউকে করা হয়, তাহলে উত্তর একটা পাওয়া যাবে ঠিকই; তবে উত্তরটা জনপ্রতি ভিন্ন হবে। ‘বন্ধুত্ব’ শব্দটিকে একটা সাধারণ জায়গায় বসালে যে ধারণা পাওয়া যায়; সেটা অতি কাছের কোনো মানুষ, যাকে কারণে-অকারণে পাশে পাওয়া যায়। মন খারাপ হোক বা ভালো কিছু হোক, আসল খবরটা আগে বন্ধুকেই দেওয়া হয়। বন্ধু প্রতিটি মানুষের জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। বন্ধু ছাড়া মানুষের জীবন কার্যত অচল।

যাঁদের প্রতিমুহূর্তের সঙ্গী বন্ধু, তাঁরা একমুহূর্তের জন্যও মন থেকে আড়াল করতে পারেন না বন্ধুদের। জীবনের সংকটে তাঁরা ছুটে যান বন্ধুদের কাছে। আবার আনন্দ, উল্লাস কিংবা দিন শেষের অবসরেও তাঁরা ভালোবাসেন বন্ধুত্বের কলতান শুনতে। বন্ধুত্বের পরিপূরক সম্পর্কের মাঝে তাঁরা খুঁজে পান জীবনযাপনের ভিন্ন রস। সবকিছুরই যদি একটা বিপরীত অস্তিত্ব থেকে থাকে, বন্ধুত্বেরও আছে। বন্ধু যদি প্রকৃত বন্ধু না হয়ে স্বার্থবাদী বন্ধু হয়ে থাকে, তাহলে জীবন এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। প্রতিটি মানুষের জীবনে সফলতার পেছনে বন্ধুর অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাই আর যাই হোক, বন্ধু নির্বাচনে বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকাটা বেশ জরুরি।

একাকিত্ব যখন আঁকড়ে ধরে, আমরা যখন নীরবতার মাঝে ডুবে যাই, একটি শব্দ ‘বন্ধু’ যেন নতুন করে আহ্বান জানায়। কোলাহলের শক্তি জোগায় বাস্তবতার বিরুদ্ধে দুর্বার শক্তি নিয়ে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য। তখন আর নিজেকে একা মনে হয় না। সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্নার মাঝেই এক বোধের জন্ম দেয় বন্ধুত্বে অমিয় সুধা। আজীবনের বন্ধুত্বের এ বন্ধন যেন টিকে থাকে। পাশে থেকে বারবার যেন ‘বন্ধু’ বলে ডেকে যায়। বন্ধু দিবসে সকল বন্ধুকে জানাই নিরন্তন শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

লেখক : প্রতিনিধি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।