বিজয়ের চেতনায় নতুন প্রজন্ম

Looks like you've blocked notifications!

বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি । দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে বহু ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সূর্য ছিনিয়ে আনে বাঙালিরা। স্বাধীনতা-পরবর্তী আমাদের অর্জন যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ব্যর্থতাও। এরপরও সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় একটি দেশ এ কথা বারবার উচ্চারিত হয়ে এলেও আমরা সেই সম্ভাবনাটুকু কাজে লাগাতে পারিনি যথোপযুক্তভাবে। অশিক্ষা, দুর্নীতি, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, জঙ্গিবাদসহ নানা সমস্যার ফলে  উন্নতি হয়নি আমাদের প্রিয় এ মাতৃভূমির। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, নারীর অধিকার সংরক্ষণ, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ এবং দেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলাসহ সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ ও প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করার মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের সুফল ভোগ করতে পারব।

আমরা নতুন প্রজন্ম বিশ্বাস করি ২০২১ সালের মধ্য বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে মালয়েশিয়া যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনাম ২৫ বছর যুদ্ধ করে ঘুরে দাঁড়াল, জাপান আণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয়েও ঘুরে দাঁড়াল, আমরাও দীর্ঘদিন পর হলেও সে পথেই হাঁটছি। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যও এ দেশের অর্থনীতির বিকাশ ক্রমবর্ধমান। রোগ-ব্যাধির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে মানুষের গড় আয়ু আরো বেড়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর পদাচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে, কমেছে দরিদ্রতা। নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ করা হয়েছে। বিজয় দিবস জাতিকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়, অত্যাচার ও শোষণের কালো হাত গুঁড়িয়ে দিতে, অধিকার আদায়ে আত্মসচেতন করে তোলে। বিজয় সংগ্রামের এ দিনটিতে উঁকি দেয় অসাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসমুক্ত শস্য শ্যামল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

লেখক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রতিদিন