পরিবহন খাত

বর্ধিত ভাড়ার প্রভাব জ্যামিতিক হারে পড়বে

Looks like you've blocked notifications!

গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পরিবহনের ভাড়া বাড়াল সরকার। সড়ক পরিবহন ও  সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন।

ঘোষণা অনুযায়ী বাস ও মিনি বাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার দশ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী বাসের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা। আর মিনি বাসের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন ভাড়া করা হয়েছে ৭ টাকা।

অটোরিকশার প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৭ টাকা ৬৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর চালকের কাছ  থেকে মালিকের দিনপ্রতি জমা নির্ধারণ ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯০০ টাকা।

যানজটে আটকে থাকলে আগে ভাড়া ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা, সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা করা হয়েছে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ নতুন ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও এ মাসের প্রথম দিন হতেই যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। 

ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর ছাড়া দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ঘোষণা অনুযায়ী বাড়ছে না। বিষয়টি দেখা সময়ের ব্যাপার মাত্র, কে আইন মানছে আর কে মানছে না।

তাই সরকারের এ গাণিতিক ভাড়া বৃদ্ধি সব ধরণের মালিকরাই জ্যামেতিকহারে বৃদ্ধি করবে। কারণ তাদের যুক্তি হবে সামগ্রিক ব্যয় ভার নিয়ে। বিষয়টি কিছুটা যৌক্তিকও বটে। জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি ভোগ্য পণ্যেও এর প্রভাব পড়বে। ঘর ভাড়ায় এর বেশ প্রভাব পড়বে। তাহলে একজন বাস শ্রমিক কি আগের টাকায় চলতে পারবে? মালিক তার বেতন বাড়াক আর না বাড়াক বিষয়টি আমলে নেয়ার মত। সব কথার আসল কথা আমরা আম জনতা। এ থেকে মুক্তির উপায় কি?