প্রতিক্রিয়া

চেতনা ফিরুক খাদিজার

Looks like you've blocked notifications!

তাঁর জন্য সবার ব্যথাতুর প্রার্থনা। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা। সেই প্রার্থনা, সেই অপেক্ষা কি বৃথা যাবে? খাদিজার প্রতি মানবরূপী দানব ‘চাপাতি বদরুল’ যে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে, এরপর প্রকৃতিও কি আরেকবার নিষ্ঠুর হয়ে ওঠবে?

হয়তো না! আর ‘না’ বলেই হয়তো লড়ে যাচ্ছেন খাদিজা। লড়ে যাচ্ছেন আবার আলো-বাতাসে মুক্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য, লড়ে যাচ্ছেন আপনালয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য।

গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে শাবির অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ও বদরুল আলমের চাপাতির আঘাতে লুটিয়ে পড়া খাদিজা এখনো স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় আছেন।

খাদিজার অবস্থার উন্নতি হয়েছে আগের চেয়ে। কিন্তু এখনো পুরোপুরি চেতনা ফিরে পাননি তিনি। এখনো তার বাঁ হাত ও পা অবশ হয়ে আছে!

ইমরানকে কি খাদিজার এই অবস্থা আলোড়িত করে? ভাবায়? ইমরান কবির! সেদিন খাদিজার জন্য মানবতার হাত বাড়ানো এই যুবকের কণ্ঠে ঝরে আকুলতা, ‘খাদিজা আপু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক- এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।’

খাদিজা চাপাতির নির্মম আঘাতে যখন ধুলোমাটিতে লুটিয়ে ছিলেন, তখন এগিয়ে গিয়েছিলেন ইমরান। নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেই ইমরানকে খাদিজার এমন অবচেতন অবস্থা দুঃখ ভারাক্রান্ত করে। ইমরান তাই প্রার্থনায় মগ্ন, খাদিজা যেন পুরোপুরি চেতনা ফিরে পান, পুরোপুরি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।

খাদিজার জন্য ইমরানের এমন চাওয়া, এমন আকাঙ্ক্ষা যে শুধু তার একার নয়, সেটা বলাই বাহুল্য!

লেখক : সাংবাদিক ও রম্য লেখক।