রম্য
আমি কোটি টাকার নায়ক, বললেন ডিপজল
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন না। তবে এবার নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই পূর্ণ উদ্যম নিয়ে নেমেছেন ছবির শুটিংয়ে। তাই পুরস্কার হিসেবে প্রথমবারের মতো কাল্পনিক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গেলেন হাস্যরসে। আসুন, ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজলের কাল্পনিক সাক্ষাৎকার পড়ে নিই।
হাস্যরস : বছরের প্রথম দিন ‘মারামারি’ দিয়ে শুরু করলেন?
ডিপজল : হুম, অ্যাকশন দৃশ্য আগে শুটিং করেছি।
হাস্যরস : অ্যাকশন দৃশ্য বলে পার পাওয়া যাবে না। মারামারি মানে মারামারিই। সেটা হোক অ্যাকশন কিংবা রোমান্টিক দৃশ্য। কাজটা কি ঠিক হইছে?
ডিপজল : ভাই, এইটা শুটিং, বাস্তব না।
হাস্যরস : সেটা পরে দেখা যাবে। তার আগে বলুন, 'কোটি টাকার কাবিনের' পরে এখন আপনার আপ কামিং মুভির নাম 'এক কোটি টাকা' কেন?
ডিপজল : কারণ, আমি কোটি টাকার নায়ক।
হাস্যরস : বাংলাদেশে সাধারণত নায়কদের বয়স হলে প্রায় তারা ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে। কিন্তু আপনি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্টো ভিলেন থেকে হিরো, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন। ব্যাপারটা ক্যামনে কী?
ডিপজল : হিরোরা বয়স বাড়লে যদি ভিলেন হতে পারে, তাহলে ভিলেনদের বয়স বাড়লে হিরো হলে সমস্যা কী?
হাস্যরস : সমস্যা নাই। তবে আপনি কোন চিন্তা থেকে হিরো হয়ে মুভি করছেন?
ডিপজল : বাংলাদেশ হিরো সংকটে আছে। তাই হাল ধরলাম।
হাস্যরস : ইদানীং আপনার যে সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে, তার সবকটি দুঃখের। যার ফলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মা-বোনরা।
ডিপজল : আমার মুভি দেখে মা-বোনরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাবে কেন?
হাস্যরস : কারণ, আপনার দুঃখের ছবি দেখে তাদের চোখের জল চলে আসে। আর সেই জল তাদের মেকআপ নষ্ট করে ফেলে।
ডিপজল : তো, আমি এখন কী করব?
হাস্যরস : সেইসব দর্শককে ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু টাকা দেবেন।
ডিপজল : আপনি দেখি সাক্ষাৎকারের নাম কইরা আমার সান্ডে-মান্ডে ক্লোজ করার চেষ্টা করছেন।
হাস্যরস : হাস্যরসে কাল্পনিক সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ডিপজল : এইটা কি কাল্পনিক সাক্ষাৎকার ছিল? আগে বললেন না কেন? হুদায় সময় নষ্ট করলাম।