রম্য
সাক্ষাৎকারে মেসি যা বললেন
লিওনেল মেসি। তারকা হলেও তিনি আকাশে থাকেন না। এল ক্ল্যাসিকোর জয়ের পরে তাঁকে পাওয়া গেল স্পেনের মাটিতে। তারপর গোপন প্রেমের টানে গতকালই তিনি চলে এলেন বাংলাদেশে। চানখাঁরপুলের পাশে কফি খেতে খেতে রাত ৩টায় তাঁর স্বাপ্নিক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কেরামত আলীর সম্বন্ধির ছেলের একমাত্র শ্যালিকার বেয়াই চান্দু মিয়া।
চান্দু মিয়া : বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে আপনার?
মেসি : শীত শীত লাগছে। মশাও কামড়াচ্ছে। তবে কফিটা বেশ ভালো। মশা না কামড়ালে আরো ভালো লাগত।
চান্দু মিয়া : সত্যি বলতে, আমরা আপ্যায়নপ্রিয় জাতি। আমাদের মশাগুলোও আপ্যায়নপ্রিয়। ওরা তো কামড়াচ্ছে না। আপনাকে চুমু দিচ্ছে। আর বলছে, বাংলাদেশে আপনাকে স্বাগতম!
মেসি : তাই নাকি! খুব খুশি হলাম। মশাগুলো তবে গৃহপালিত মশা! এরাও ভাষা ও ভালোবাসা বোঝে, ফুটবল বোঝে...
চান্দু মিয়া : থাক সেসব কথা। ফুটবলের কথায় আসি। ফুটবল খেলায় কীভাবে এলেন?
মেসি : সে এক ইতিহাস। আসলে আমার প্রেমিকা আনতোনেল্লা রোকুজ্জোর বাবা ছিলেন খুব বদরাগী আর স্বার্থপর মানুষ। কৈশোর থেকেই আমাদের প্রেম। অথচ রোকুজ্জোর বাবার এককথা, ফুটবলার ছাড়া মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। আমি তখন মুদি দোকান দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর। প্রেমিকাকে ছাড়া বাঁচব না। সে জন্য শেষ পর্যন্ত আমাকে ফুটবলারই হতো হলো। আজ ফুটবলার হয়েছি বলেই রোকুজ্জোকে বিয়ে করতে পেরেছি! এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।
চান্দু মিয়া : সত্যি, সে এক প্রেমের ইতিহাস। আপনি প্রচুর গোল করেন। এই সাফল্যের রহস্য কী?
মেসি : সত্যি বলতে কি, শৈশব থেকেই আমার মা আমাকে কমপ্লেন খাওয়াতেন। খাওয়া শেষে লাইফবয় দিয়ে হাত ধোয়াতেন। পেপসুডেন্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করাতেন। এভাবেই আমি বেড়ে উঠেছি। আমার সাফল্যের মূলে এসব কাজ করেছে। যারা সাফল্য পেতে চায়, তাদেরও এসব প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
চান্দু মিয়া : বাংলাদেশে আপনার প্রচুর ফ্যান রয়েছে। এ দেশের মানুষও ফুটবলপাগল। কিছু বলুন।
মেসি : আমি সেটা জানি। কিন্তু ফুটবলপাগল বলার পর একটু লজ্জা লাগছে। এ দেশের মানুষ ফুটবলপাগল? পাগল হলে তো হাসপাতালে ভর্তি করার কথা। ফুটবলের সঙ্গে পাগলের কী সম্পর্ক?
চান্দু মিয়া : না না, এই পাগল সেই পাগল নয়। আসলে এ দেশের মানুষ আপনার খুব ভক্ত।
মেসি : ওহ! আচ্ছা এখন বুঝলাম। খুব ভালো লাগল শুনে। আমি জানি, এ দেশের তরুণদের ফুটবল খেলার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। আমি মনে করি, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশ একদিন ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে।
চান্দু মিয়া : আপনার ভবিষ্যদ্বাণী শুনে মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করছে...
মেসি : ঝিমঝিম করবে কেন। আমি ঠিক করেছি, ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে জ্যোতিষী হবো।
চান্দু মিয়া বাকি কথা শুনতে পারল না। তবে জানা যায়, মেসি চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।