রম্য
যানজট কাজে লাগানোর ‘এক্সক্লুসিভ’ উপায়
যানজট এক নিত্য সমস্যা। এই যানজটকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে কাজে লাগাতে পারেন। কিছু ‘এক্সক্লুসিভ’ উপায় বাতলে দিচ্ছেন হাস্যরস প্রতিবেদক।
পকেটমার
পকেট মারতে হলে একটু ধীরস্থিরে কাজ করতে হয়। যার পকেট মারা হবে, সে যদি দ্রুত চলাফেরা করে, তবে পকেট মারা কষ্টকর। পকেটমারেরা এই স্থবিরতা কাজে লাগিয়ে ধীরেস্থিরে পকেট মারার কাজটা করতে পারে।
ফাঁকিবাজ
কিছু কিছু ফাঁকিবাজ অফিসে দেরি করে যেতে ভালোবাসে। দেরি করে অফিসে গিয়ে বসকে অজুহাত দেখাতে হয়। এ ক্ষেত্রে ফাঁকিবাজরা যানজটকে মোক্ষম অজুহাত হিসেবে বেছে নিতে পারে। ‘আর বলবে না বস, সেই সাতসকালে বাসা থেকে বেরিয়েছি! তাড়াতাড়ি অফিসে বেশি কাজ করব ভেবেছিলাম, হলো না। অসহ্য জ্যাম......।’
স্বামী
অফিস শেষ করে অনেকেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পছন্দ করে। কিন্তু ঘরে বউ আছে, বাকিটা বুঝতেই পারছে। বিবাহিত ব্যক্তিদের তাই অফিস শেষে দ্রুত বাসায় পৌঁছাতে হয়। এ ক্ষেত্রে স্বামীরা যানজটকে কাজে লাগাতে পারে। ‘আমি অমুক জায়গায় জ্যামে আটকে আছি’ ‘আজ বোধহয় রাত নয়টার আগে বাসায় পৌঁছাতে পারব না, এত্তো জ্যাম!’ প্রভৃতি অজুহাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারে তারা। তবে ফোনের জিপিএস ও ডাটা অফ করে রাখতে হবে। নইলে বউ বাসায় বসেই স্বামী কোথায় আছে সেটা ফোন ট্র্যাক করে বের করে ফেলবে।
কবি
জ্যামে পড়লেই আর রক্ষা নাই। কপাল ভালো হলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মুক্তি, নয়তো কয়েক ঘণ্টা। জ্যামে পড়লে তাই অলস সময়ে বিরক্ত না হয়ে মনোযোগ দেন কবিতায়। এ ক্ষেত্রে আপনার গাড়ির আশপাশে চোখ বুলিয়ে দেখুন কোনো সুন্দরী ললনা আছে কি না, থাকলে তাকে নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিতা লিখুন। হয়ে ওঠুন ‘যানজটজয়ী কবি’!
ফেসবুক সেলিব্রেটি
যারা ফেসবুকে বেশি সংখ্যক লাইক, কমেন্ট পান, তাদেরকে নিত্যনতুন বিষয়ে পোস্ট দিতে হয়। নইলে লাইক, কমেন্টকারীরা ‘দূরে চলে যাবে।‘ তো ফেসবুক সেলিব্রেটি কেউ যানজটে আটকালে মনোযোগ দিতে হবে আশপাশের মানুষের কথাবার্তায়। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন, স্ক্যান্ডাল....সব বিষয়েই দেখবেন কেউ না কেউ কিছু বলছে! এসব কথাবার্তা থেকে কিন্তু ফেসবুকার জম্পেশ কোন আইডিয়া পেয়ে ফেসবুকে ‘জ্ঞানগর্ভ’ পোস্ট দিতে পারেন। এরপর তো খালি লাইক, কমেন্ট আর শেয়ার।