রম্য
সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে যেমন হতে পারে
রাত পেরোলেই ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা সিঙ্গেল—উভয় পক্ষের জন্যই দিনটি স্পেশাল। তবে কারণটা একদম ভিন্ন। ভিন্নতার কারণ হয়তো আমার থেকে আপনিই ভালো বলতে পারবেন, যদি আপনি সিঙ্গেল হয়ে থাকেন। আর ভালোবাসা দিবসে সিঙ্গেলদের জন্য হাস্যরসে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট লাভগুরু লালমিয়া।
ফেসবুকে করণীয়
১. বর্তমানের আলোচিত ক্রাশ প্রিয়া প্রকাশের ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিও দেখে এ বছর নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারেন।
২. দেশের সব সিঙ্গেল প্রোফাইল পিকচারে একই ফটোফ্রেম ব্যবহার করুন।
৩. শুধু সিঙ্গেলদের সমন্বয়ে একটা ফেসবুক গ্রুপ খুলে লাইভে আসুন। যেখানে সিঙ্গেলরা একে অন্যকে সিঙ্গেল থাকার উপকারিতা শেয়ার করে অনুপ্রেরণা দান করতে পারেন।
৪. প্রথম প্রহরেই ফেসবুকে নিজ ওয়ালে প্রেমের কুফল সম্পর্কিত পোস্ট করুন।
সাংস্কৃতিক উৎসব
১. জাতীয় সিঙ্গেল সমিতির ব্যানারে জেলা/বিভাগীয় কিংবা জাতীয় পর্যায়ে সিঙ্গেল মেলা/সাংস্কৃতিক উৎসব করা যেতে পারে। যেখানে সব রকম বিরহের গান/নৃত্য/কবিতা প্রদর্শিত হবে।
২. এ ছাড়া সাংস্কৃতিক উৎসবে সিঙ্গেলরা বসে বিভিন্ন সিঙ্গেল মনীষীর (যেসব বিখ্যাত মানুষ বিয়ে না করেই জীবন কাটিয়েছেন) জীবন-কাহিনী আলোচনা করবেন।
৩. এ উৎসবে বিশিষ্ট সিঙ্গেল মানুষদের সম্মাননা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।
সময় কাটানোর ক্ষেত্রে
১. একসময়কার জনপ্রিয় গেম ক্লাস অব ক্লোন নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। নতুবা লুডু স্টারে মনোনিবেশ দিতে পারেন।
২. ভুলেও টেলিভিশন/এফএমএ যাবেন না। প্রয়োজনে আগের দিন মোবাইল ফোনে বিরহের গান/কবিতা সংগ্রহ করে রাখুন।
৩. নতুবা ইন্টারনেটে লাইভ/হাইলাইটস যেকোনো খেলা দেখুন, এতে মন অন্যদিকে ব্যস্ত থাকবে।
৪. যুদ্ধের সিনেমাও দেখতে পারেন।
হিংসুটে কর্মকাণ্ড
১. ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে রাস্তাঘাটে প্রেমের কুফল সম্পর্কিত লিফলেট অভিভাবকদের বিলি করতে পারেন।
২. যুগলদের বেশি সমাগম হয় এমন জায়গায় সিঙ্গেলরা দলবদ্ধ হয়ে ক্রিকেট/ফুটবল খেলুন। তা সম্ভব না হলে যুগলদের বিরক্ত করতে প্রয়োজনে গোল্লাছুটের মতো খেলা খেলতে পারেন।
৩. প্রয়োজনে সরকারের কাছে গণস্বাক্ষর প্রদান করতে পারেন।