রম্য
পানির শব্দে আমার মাথা ব্যথা করে : বালতি
বাহিরে প্রচণ্ড রোদে ঘরে ফিরে প্রথম চাওয়া শান্তিতে একটা গোসল। সেই গোসলের নিত্যসঙ্গী বালতি। আজ হাস্যরস সাক্ষাৎকার নিয়েছে এক বালতির।
হাস্যরস : কেমন আছ Bucket ভাই?
বালতি : দেখুন ভাই, আজকাল যুগের হাওয়ায় অনেকেই বাংলিশে ( বাংলা+ইংলিশ)সম্মোধন করতে ভালোবাসে কিন্তু আমাকে বালতিই বলুন।
হাস্যরস : কেমন আছেন?
বালতি : যদিও গরমকাল তবুও বেশ ঠান্ডায় থাকি। কেননা শীতকালে যেসব মানুষ শুধু সুগন্ধি মেখেই টানা ১ মাস কাটিয়ে দিতে পারে তারাও গরমকালে বালতিতে ঠান্ডা পানি ঢালে।
হাস্যরস : তো এ রকম গোসল বিমুখ কোনো মানুষকে নিয়ে মজার কোনো ঘটনা আছে কি?
বালতি : হুম অবশ্যই। আপনাদের হাস্যরসের সম্পাদক একবার তার ছেলেকে গোসলে পাঠিয়েছে। এরপর সে কোনোভাবেই যাচ্ছে না। শেষে সে ব্যাখ্যা দিল ‘আমরা যদি সারা দেশের মানুষ টানা ১০ দিন গোসল না করি তাহলেই তো কত লক্ষ গ্যালন পানি বেঁচে যায় , সেই পানি এক টাকা গ্লাস বিক্রয় করে কত ছেলের কর্মসংস্থান করা যায়’ তার যুক্তি মনে পড়লে মাঝেমধ্যে একা একা হাসি।
হাস্যরস : আপনি হাসলে কেউ শুনে ফেলে না?
বালতি : সমস্যা নেই তখন বাথরুমের দরজা বন্ধ থাকে।
হাস্যরস : সাধারণ জনগণের কাছে আপনার কোনো চাওয়া আছে কি?
বালতি : অবশ্যই আছে। প্রায় সময়ই আপনারা পানির টেপ ছেড়ে দিয়ে ভুলে যান। অতিরিক্ত পানির শব্দে আমার আবার মাথা ব্যথা করে।
হাস্যরস : আর কিছু?
বালতি : আর একটা কথা সেটা হলো আপনারা Wifi bill কিংবা ডিশ বিল সময়মতো দেন যেন লাইন কেটে না যায় তাহলে কেন পানির বিল বাকি রাখেন? বাথরুমের বালতি হলেও তো আত্মসম্মান বলে একটা কথা আছে। বাকিতে পানি নিতে টেপ কল আমাকে অনেক কথা শুনায়।
হাস্যরস : সে না হয় একদিন টেপ কলের মুখেই শুনব। আপনি ভালো থাকুন। এভাবেই নিজে ঠান্ডা থাকুন অন্যদের ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করুন।
বালতি : ধন্যবাদ।