রম্য
বিজ্ঞানীরা অবাক এইচ-টু-ও কেন পানি নয়?
সম্প্রতি এক প্রতিযোগিতায় এইচ-টু-ও কী—প্রশ্ন করায় জবাব আসে, এটি একটি রেস্টুরেন্ট। এ নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে হৈচৈ পড়ে যায়। তাঁরা সকলেই নতুন করে গবেষণায় নেমে পড়েন। তাঁরা চিন্তা করতে থাকেন, তাঁদের গবেষণা ভুল প্রমাণিত হলে মানুষ তাঁদের প্রতি আস্থা হারাবে। ফলস্বরূপ বিজ্ঞানীরা তাঁদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে হারাবেন হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার। তাঁদের ফেসবুক পোস্ট কিংবা ছবিতে লাভ রিঅ্যাকশনের পরিবর্তে সবাই দেবে হাহা রিঅ্যাকশন। এ আশঙ্কায় তাঁরা সকলেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করে দেন।
ল্যাবে বসে সকলেই ফেক অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাধারণ জনগণের মতিগতি অনুসরণ করতে শুরু করেন। পাশাপাশি চলতে থাকে গবেষণা। একের পর এক বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালিয়ে তাঁরা একই ফল পান—এইচ-টু-ও হলো পানি। তাহলে সেই প্রতিযোগী এইচ-টু-ও-কে রেস্টুরেন্ট বলল কেন? তাঁরা সকলেই বাংলাদেশে এসে ছদ্মবেশে উপস্থিত হন সেই রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন উপকরণ পরীক্ষা করে তাঁরা পান—কয়েকটি টেবিল, বসার স্থান, লাইট ও টেলিভিশন। কিন্তু রেস্টুরেন্টের উপকরণে কোথাও দুইটা হাইড্রোজেন ও একটা অক্সিজেনের সন্ধান তাঁরা পেলেন না। অতঃপর সবাই একটা করে নাগা বার্গার খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে সোজা ফিরে যান তাঁদের গবেষণাগারে।
বিজ্ঞানীদের মুখে হতাশার ছাপ। তাঁরা গোল হয়ে বসে ভাবছেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী। হঠাৎ একজন বিজ্ঞানী হাত দিয়ে সজোরে টেবিলে শব্দ করে বললেন, 'ইউরেকা!' বাকি সবাই চোখ বড় বড় তাকালেন তাঁর দিকে। বিজ্ঞানী উল্লসিত কণ্ঠে গড়গড় করে বলে চললেন, 'আপনারা হয়তো লক্ষ করেননি, আমরা যখন নাগা বার্গার খাচ্ছিলাম, তখন রেস্টুরেন্টের টেলিভিশনে চলছিল জি বাংলা চ্যানেল। আর জীবন মানেই তো জি বাংলা। ওদিকে আবার পানির ওপর নামও জীবন। ব্যস, এই দুটো সমীকরণকে এক করলে আমরা কী পাই? পানির অপর নাম জি বাংলা। আর জি বাংলা চলছিল ওই রেস্টুরেন্টে। তাই পানির অপর নাম হলো সেই রেস্টুরেন্টটি। অর্থাৎ এইচ-টু-ও হলো একটি রেস্টুরেন্ট। হয়ে গেল প্রমাণিত!'
অবশেষে বিজ্ঞানীদের মুখে ফুটে উঠল বিজয়ের হাসি। তাঁরা সবাই হাততালির সুরে সুরে বলতে লাগলেন, 'সহমত ভাই, সহমত।' হাততালি শেষে এক বিজ্ঞানী বললেন, 'চলেন ভাই, এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা অ্যাকটিভ করে ফেলি। আর ভাই, আপনি আপনার প্রমাণটা স্ট্যাটাস দিয়ে আমাদের সবাইকে ট্যাগ মেরে দিয়েন।'