ব্যাচেলরদের টিকে থাকার লড়াইয়ে যা করণীয়!

এ যাবৎকাল দেখা গেছে, বাড়িওয়ালা কর্তৃক বিভিন্ন পেইনের শিকার হয়ে থাকেন সম্মানিত, বিশিষ্ট ব্যাচেলররা। হঠাৎ করেই জঙ্গি আতঙ্কে আবারও সব প্রেসার পড়ছে ব্যাচেলরদের ওপর। ভাড়া বাসায় তাঁরা কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারছেন না। তবে হ্যাঁ, এই কঠিন সময়ে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াতে চাই আমাদের সবার প্রিয় 'হাস্যরস' বিভাগ। আর তাই হাস্যরস বিভাগের পক্ষ থেকে এখন মহান ব্যাচেলরদের প্রতি জানানো যাচ্ছে এই কঠিন সময়ে টিকে থাকার করণীয় কিছু উপায়।
♥ বাড়িওয়ালাকে এটা বোঝানোর সর্বোত্তম চেষ্টা করুন যে, ‘দেখুন জনাব! আপনি অহন এত পাট নিয়েন না। আপনি নিজেও জন্মের পর থেইক্যা একটি দীর্ঘকালীন সময়ে এই ব্যাচেলর পরিচয় মাথায় নিয়েই নিজেকে জীবিত রেখেছিলেন। তারপরে এখন না হয় বিবাহিত হয়েছেন, তার জন্য পূর্বের ইতিহাস এমন কইরা ভুলে যাওন কি ঠিক হবে?” এরপর দেখবেন বাড়িওয়ালা ফ্লাশ ব্যাকে চলে গিয়েছেন এবং তারপর আপনাদের জন্য তার বাসায় টিকে থাকার খুবই কাজ হবে ।
♥ 'বকুল' থুক্কু 'কবুল' সূত্র গ্রহণ করে ব্যাচেলর জীবনের অভিশাপ থেকে নিজেকে চিরতরের জন্য মুক্ত করে ফেলুন। আরে ভাই, বুঝলেন না? হ ঠিকই ধরছেন, বিয়ে করণের কথাই তো কইতাছি। জলদি জলদি এই কাম শেষ কইরা ফেলেন। আর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বিবাহিতদের সংস্থার নতুন সদস্য হিসেবে বিবেচিত করুন।
♥ বাড়িওয়ালার মাইয়ার লগে প্রেম, গভীর থেকে আরো গভীরে নিয়ে যান। বাড়িওয়ালার মাইয়ারে যদি কোনো মতে একটু পটিয়ে- টটিয়ে, এবং চুটিয়ে গভীর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়াইতে পারেন, তাইলে তো কেল্লাফতে। আপনার আর বাসা নিয়ে কোনোই টেনশন করন লাগবে না, যা করার বাড়িওয়ালার মেয়ে নিজেই করে নেবে।
♥ তবে আরেকটি কথা, বাড়িওয়ালার মেয়েটিকে পটাতে গিয়ে আবার বাড়িওয়ালার কাজের মেয়েকে পটিয়ে ফেলবেন না যেন, তাতে হিতে বিপরীত কিছু হতে পারে। তাই সাবধানে এবং সতর্কতার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যান। আমরা আছি আপনার সঙ্গে। কোনো ভয় নাই, যা হওয়ার হবে।
♥ এত কিছুর পরেও যদি কাজের কাজ কিছুই না হয়, তবে দুনিয়ার তাবৎ ব্যাচেলরদের নিয়ে, ‘দুনিয়ার ব্যাচেলর এক হও, এক হও’ এই টাইপ স্লোগান নিয়ে সব জিদ্দি বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য রাজপথে নেমে পড়ুন এবং সঙ্গে সঙ্গে সব দাবি-দাওয়া পেশ করুন সংখ্যাভিত্তিক দফা হিসেবে।
♥ দেশের সব ব্যাচেলরের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ‘ব্যাচেলরাধিকার কমিশন’ গঠন করা এখন সময়ের দাবি। আর তাই, কোনো প্রকার কাল বিলম্ব না করে এখুনি ‘ব্যাচেলরাধিকার কমিশনের’ জন্য সদস্য ফরম পূরণ করা থেকে শুরু করে সার্বিক কাজ-কর্মে নেমে পড়ুন। এবং টিকে থাকুন আমাদের এই ব্যাচেলর অবহেলিত সমাজে।