রম্য
ফেসবুক লাইভের নানাবিধ ব্যবহার
ফেসবুকের লাইভ অপশন অনেকের কাছে বিরক্তিকর হলেও কারো কারো কাছে তা আবার সুখকরও বটে। আর তাই কারণে-অকারণে যে যেভাবে পারছে সেভাবেই লাইভে চলে আসছে। তবে লাইভে আসার পর অনেকে কী কারণে লাইভে এসেছেন তার কোনো বিষয়বস্তুই খুঁজে পান না। তো চলুন দেখে আসি আর কী কী বিষয়বস্তু লাইভে দেখানো যায়।
১. আগে মানুষ খাবারের আগে হাত ধুলেও এখন খাবারের আগে সেলফি তোলা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো আপনি চাইলে সেলফি না তুলে খাওয়া-দাওয়ার পর্বটা লাইভে শেয়ার করতে পারেন সবার সাথে।
২. আমাদের দেশে লোকাল বাসে উঠতে পারা অনেকটা যুদ্ধ জয় করার মতোই কঠিন কাজ। তো আপনি যদি বাসে উঠতে পারেন সেই দৃশ্যটা লাইভে সবাইকে দেখিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন যে আপনি আসলে কতটা বীর।
৩. আজকাল ক্যামেরা না পৌঁছালে দানবীরেরা দানকর্ম শুরু করতে চায় না। আর তাই তাদের ক্যামেরার জন্য অপেক্ষা না করিয়ে লাইভে নিয়ে আসা যায় যেন মানুষ দেখছে এই অজুহাতে দানের হাত থেমে না থাকে।
৪. বর্তমানে স্কুল-কলেজে ১০ দিন অনুপস্থিত থাকলে জঙ্গির তালিকায় নাম উঠে যাওয়ার একটা রিস্ক আছে। আর তাই আপনি যে আসলেই ক্লাস করেন সেটা আপনার ক্যাম্পাসে যাওয়া মাত্রই লাইভে সবাইকে দেখিয়ে দিতে পারেন!
৫. বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে বা কোথাও খেতে গেলে লোকেশন ট্যাগ বা চেকইন দেওয়াটা রীতিমতো আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এবার সেই অভ্যাসটা একটু পরিবর্তন করলে মন্দ হয় না। চেকইনের পরিবর্তে লাইভে দেখাতে পারেন আপনি এখন কোথায় আছেন, কী করছেন এসব। তবে এতে করে কারো হাটে হাঁড়িভেঙে গেলে লেখক দায়ী নয়।
৬. অপারেশন রুমের অনেক ডাক্তার এখন অপারেশনের আগে রোগীর সাথে সেলফি তুলে বেড়ায়। দেখে মনে হয় যেন অপারেশন রুম পর্যন্ত আসতে পেরেছে এটাই ওই ডাক্তারদের জন্য অনেক বড় একটা ব্যাপার। তো সেসব ডাক্তারও চাইলে সেলফি তোলার পরিবর্তে অপারেশনের খুঁটিনাটি সব লাইভের মাধ্যমে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিতে পারে।
৭. টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠান যদি ভালো না লাগে তাহলে নিজেই ফেসবুকে গিয়ে লাইভ অপশন চালু করে দিতে পারেন। টিভির লাইভ দেখা বাদ দিয়ে নিজের লাইভ দেখাতে পারেন ফেসবুক বন্ধুদের।