রাজধানীতে টেকনো ড্রাগসের রোড শো অনুষ্ঠিত
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ৭১-এ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে রোড শোর আয়োজন করা হয়।
রোড শোতে বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির শর্তানুযায়ী, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের সামনে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি, বিগত বছরগুলোর আর্থিক তথ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
রোড শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক মেহেরিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক আরেফিন রাফি আহমেদ, চিফ অপারেটিং অফিসার পীযূষ কুমার চক্রবর্তী, কোম্পানি সচিব দেবাশিস দাসগুপ্ত, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকগণসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড, বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডসহ বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক, বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারজে হাউজ, অ্যাসেট মানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
আইপিওর রেড হেয়ারিং প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, টেকনো ড্রাগস লিমিটেড ২০০৯ সালে নিবন্ধিত হয়। তবে কোম্পানিটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে পরের বছর ২০১০ সালের ১ জুলাই। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে। গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ২ টাকা ৮ পয়সা। এসময় শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা।
রোড শোতে টেকনো ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন জানান, অনেকদিন পরিশ্রম করে এখানে এসেছি। প্রথমে যাত্রা শুরু করি ভেটেরিনারি প্রোডাক্ট দিয়ে। দেশে ভেটেরিনারির প্রবর্তক টেকনো ড্রাগস। পরবর্তীতে মানুষের ওষুধ নিয়ে কাজ শুরু করি। ২০১৪ সালে ওষুধ রপ্তানিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করি আমরা। এরপরে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হই। ডলার সংকটের কারণে গত দুই বছর আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়ি। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ঘাবড়ানোর কোনও কারণ নেই। আমরা অনেক পরিশ্রম করি। আপনারা সাথে থাকলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে টেকনো ড্রাগস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব চলছে। অনেকে ধারণা করছিল আইপিওর কারণে বাজারে এই অস্থিরতা। তবে বাজার ভালো হওয়ার পেছনে আইপিওর কোনও প্রভাব নেই। বাজারের সমস্যা সমাধানে অনেক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বাজার পুরোটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে চলে। পুঁজিবাজার ও আইপিও নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে নতুন বিনিয়োগকারী টানতে আইপিও দরকার আছে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের আইপিওতে আসার নানা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।