লেনদেন ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের কার্যদিবসের চেয়ে এদিন লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে লেনদেন পরিমাণ। দুই স্টকে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার চেয়ে বেড়েছে বেশি।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার ডিএসইতে ৩৪৯ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৩৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আট দশমিক ৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৩১ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক দুই দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৫৫ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টির ও কমেছে ৪৮টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৮১টির। আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জিকিউ বলপেনের ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ইয়াকিন পলিমারের ১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ফু-ওয়াং ফুডের ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপরদিক সিএসইতে রোববার ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল সাত কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক সিএএসপিআই এক দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৮১ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই৫০ সূচক তিন দশমিক ৩৩ পয়েন্ট এবং সিএসই৩০ সূচক ৫৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট করে বেড়েছে। সিএসসিএক্স সূচক দশমিক ৯৯ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক এক দশমিক ৬৪ পয়েন্ট করে কমেছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৬ কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ২৮টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৯৯টির।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফার কেমিক্যালের এক কোটি আট লাখ টাকা, সেন্টাল ফার্মার ৫৩ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের ৪৭ লাখ টাকা এবং কেডিএস এক্সেসরিজের ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।