মন্দায় ৬৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন

Looks like you've blocked notifications!

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। লেনদেনসহ বাজারে কমেছে মূলধন পরিমাণ। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।

ডিএসই ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করে দেখা যায়, শেয়ার ক্রয়ের চাপে লেনদেন শুরুতেই সূচক উত্থান হয়। লেনদেনে শুরু প্রথম আট মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থান ৩৫ পয়েন্ট। ডিএসইএক্স সূচক বেড়ে অবস্থান করেছিল ছয় হাজার ৪০৬ পয়েন্টে। পরে সূচক বাড়ার বৃত্ত কমতে থাকে। সকাল ১০টা ৪০মিনিটে ডিএসইএক্স উত্থান দুই পয়েন্ট। ওইসময় কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৬১টির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন ২১৩ কোটি চার লাখ টাকা। পরবর্তীতে সূচক উত্থান হয়। সকাল ১০টা ৫৯মিনিটে ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসইএক্স ছয় হাজার ৩৮৭ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছিল। পরে সূচক পতনে ফিরে। লেনদেন শেষদিকে বিক্রির চাপ বাড়ে। লেনদেন শেষে সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট। লেনদেন এক হাজার ৭৪ কোটি টাকা। কমেছে ২৫০ কোম্পানির শেয়ার দর।

স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এদিন পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬৯ হাজার ৯৮২ কোটি ৬৪ টাকা। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার। 

বৃহস্পতিবার সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৩৬ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ১৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮২ দশমিক ২১ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৫৭ দশমিক শূন্য ছয় পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির ও কমেছে ২৫০টির বা ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৫৪টির। 

আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেস্ট হোল্ডিংয়ের ৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, আফতাব অটোর ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ২৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, সিকদার ইন্স্যুরেন্সের ২৬ কোটি চার লাখ টাকা, এবি ব্যাংকের ২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা, আইটিসির ২৩ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং বিকন ফার্মার ২৩ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার ২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬৩ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস বুধবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৬৪ হাজার ২০৮ কোটি সাত লাখ টাকা। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯০ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে। সিএসই৫০ সূচক ছয় দশমিক ২৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৯৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬৪ দশমিক শূন্য আট পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক ছয় দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমেছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ১৫৮টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ২৯টির।