আঠারো  টাকা বেড়ে মনোস্পুল পেপার উত্থানের শীর্ষে

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং গতকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি)  শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। এতে দিনটিতে কোম্পানিটির শেয়ার দর গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইতে গতকাল রোববার বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২০১ টাকা ৬০ পয়সা। যা আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১৮৩ টাকা ৩০ পয়সা। এক কর্মদিবস ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আলোচ্যদিনে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ হাজার ৯৮৮টির। হাতবদল ৩৯ বার। এদিনে বাজার মূলধন দাঁডায় ৬২৫ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২১ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ৬১ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে চার টাকা ৩৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল তিন টাকা ১৫ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল নেগেটিভ ২৪ টাকা ২৮ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৫৫ পয়সা।

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনে (জুলাই-জুন) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল আট টাকা ২৭ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল পাঁচ টাকা ৪৫ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল নেগেটিভ ১৯ টাকা ৬২ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল সাত টাকা ১৯ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ১৭ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৪৪ টাকা ৮৮ পয়সা। 

১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়  বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৪ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা তিন কোটি ৪১ লাখ পাঁচ হাজার ১০১টি। রিজার্ভে রয়েছে ৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৪৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। 

আলোচ্যদিনে দর বাড়ার তালিকায় শীর্ষ দ্বিতীয়তে এসেছে পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ফার্মার ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বেস্ট হোল্ডিসংয়ের ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, ফাইন ফুডসের আট দশমিক ৭৩ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের আট দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিডি থাইয়ের সাত দশমিক ৮৭ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনসের সাত দশমিক ৪৯ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের পাঁচ দশমিক শূন্য এক শতাংশ এবং এমারেল্ড অয়েলের চার দশমিক ৬৫ শতাংশের দর উত্থান হয়।