পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি ফেরাতে ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব

Looks like you've blocked notifications!
ডিবিএর লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে

পুঁজিবাজারে চলছে ধারাবাহিক পতন। এনিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। একে অপরকে করছে দোষারোপ। ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রসালো তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্কিত করছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এতে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে বাজারের স্বাভাবিক ভাবমূর্তি। এসব পরিস্থিতি এড়াতে কাজ করছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। 

গতকাল মঙ্গলবার ডিবিএর এক বৈঠকে পুঁজিবাজারের এই বৈরী পরিস্থিতি থেকে বের হতে সবাই একমত হয়েছে। এ লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে বিদ্যমান মন্দা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

ডিবিএর আলোচনা সভায় প্রস্তাবগুলো হলো- শেয়ারের দরে পুনরায় ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজবটি রয়েছে, তা শতভাগ গুজব, মিথ্যা, ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে ডিবিএ মনে করে; বর্তমান মার্জিন বিধিমালা-১৯৯৯ এর যুগোপযোগী সংস্কার করতে হবে; ভালো কোম্পানির আইপিও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধানের সঠিক পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে;  বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর জোর দিতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা বাড়াতে হবে; কোম্পানির ক্যাটাগরি ডিভিডেন্ডের ওপর না করে এর ক্যাপিটাল সাইজের ওপর করাই যৌক্তিক; সাধারণ শেয়ারহোল্ডার, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার কিংবা অন্য কোনো শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে ভিন্ন কোনো উপায়ে শেয়ার বৃদ্ধি করা বন্ধ করতে হবে; দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তা সমাধান করতে হবে।

গতকাল শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়কালে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও, ডিবিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদ রশীদ লালী, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন প্রমুখ।