দর পতন হয়েও লেনদেনের শীর্ষে লোকসানি গোল্ডেন সন

Looks like you've blocked notifications!
গোল্ডেন সনের লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে

লোকসানে থাকা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গোল্ডেন সনের ৭২ কোটি  ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৬৭ শতাংশ একাই করেছে কোম্পানিটি। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। অপরদিক কোম্পানিটি লেনদেন শীর্ষে থাকলেও সপ্তাহটিতে শেয়ার দর কমেছে ৩০ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গোল্ডেন সন শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২২ টাকা ৯০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ২০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৩০ পয়সা বা এক দশমিক ২৯ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৬৭ শতাংশ। সপ্তাহটিতে মোট ৪১২টি কোম্পানি এক হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে গোল্ডেন সনের সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয় দুই পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৬ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ১২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩৯ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয় ৩৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৭৪ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৭৬ পয়সা। 

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন (জুলাই-জুন) যাচাই বাছাই করে লোকসানে থেকেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের এক শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৭৫ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) সমন্বিত শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২৯ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ১৫ পয়সা। আগের অর্থবছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল এক টাকা ৪৫ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৯ টাকা ৭৪ পয়সা। 

২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় গোল্ডেন সন। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন পাঁচশত কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৭১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৭ কোটি ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২টি। রিজার্ভে রয়েছে ৪৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ২৭ দশমিক ১১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। 

এদিক গেল সপ্তায় লেনদেন তালিকায় শীর্ষ দ্বিতীয়তে এসেছে ‘বি’ ক্যাটাগরির ফু-ওয়াং সিরামিক শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৭০ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪০ পয়সা বা এক দশমিক ৫৭ শতাংশ।  

শীর্ষ তৃতীয়তে এসেছে ‘এন’ ক্যাটাগরির এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৬৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ২০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ছয় টাকা ৪০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

শীর্ষ চতুর্থতে এসেছে ‘এন’ ক্যাটাগরির বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৬৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২৬ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ৮০ পয়সা বা চার দশমিক ৭৬ শতাংশ।  

শীর্ষ পঞ্চমে এসেছে ‘বি’ ক্যাটাগরির সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২০ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে দুই টাকা ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ।  

শীর্ষ ছয়ে এসেছে ‘এ’ ক্যাটাগরির লার্ফাজহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ৭৪ টাকা ১০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৭২ টাকা ৭০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা বা এক দশমিক ৯২ শতাংশ।  

শীর্ষ সপ্তমে এসেছে ‘এ’ ক্যাটাগরির ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ৫৬২ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৮৯ টাকা ৭০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সা বা চার দশমিক ৭৭ শতাংশ।  

শীর্ষ অষ্টমে এসেছে ‘বি’ ক্যাটাগরির গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রোর শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৪৩ কোটি দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ১৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা তিন দশমিক ১২ শতাংশ।  

শীর্ষ নবমে এসেছে ‘এ’ ক্যাটাগরির লাভেলো আইসক্রিমরে শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৪১ কোটি ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ৫২ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ৯০ পয়সা বা এক দশমিক ৬৭ শতাংশ।  

এ ছাড়া শীর্ষ দশমে এসেছে ‘বি’ ক্যাটাগরির এসএস স্টিলের শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ৪০ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক শূন্য চার শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ১৫ টাকা ১০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে এক টাকা ১০ পয়সা বা ছয় দশমিক ৭৯ শতাংশ।