২৮ শতাংশ বেড়ে ম্যাকসন্স স্পিনিং উত্থানের শীর্ষে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ম্যাকসন্স স্পিনিং গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে তিন টাকা ১০ পয়সা বা ২৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল তিন পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে নেগেটিভ এক টাকা ৯২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৭৪ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে নেগেটিভ দুই টাকা ৮২ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৬৪ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৯ পয়সা।
লোকসানে পড়ায় গত ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জুলাই-জুন) যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল তিন টাকা ৯৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল দুই টাকা ১১ পয়সা পয়সা। আলোচিত সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল ২৪ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল দুই টাকা ৯ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১১ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ২১ টাকা পাঁচ পয়সা।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ম্যাকসন্স স্পিনিং। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৮টি। রিজার্ভে রয়েছে ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ছয় দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তাহে দর বাড়ার তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেট্রো স্পিনিংয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ, কেএন্ডকিউর (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রিমের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ, ডিএসএসএলের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ, ইনটেকের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ, কেডিএস এক্সেসরিজের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ভিএফএস থ্রেডের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশের দর উত্থান হয়।