চাঙ্গা পুঁজিবাজার, লেনদেন ছাড়াল দুই হাজার কোটি টাকা
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত মঙ্গলবার থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চাঙ্গা। এরই ধারায় অতীতের চার-পাঁচশ কোটি টাকার ডিএসইর লেনদেন বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে পৌছেছে। উত্থানে ডিএসইর প্রধান সূচক চলে এসেছে ৬ হাজার পয়েন্টের ওপরে। বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, গত চার কর্মদিবসে (৬ থেকে ১১ আগস্ট) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থান হয়েছে ৭৮৬ পয়েন্ট। আলোচিত চার কর্মদিবসে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৬৭ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। চাঙ্গার ফলে সপ্তাহটির প্রথম কর্মদিবস আজ রোববার (১১ আগস্ট) লেনদেন বেড়ে দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করেছে, যা গত ২২ মাস ২১ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। একদিনের ব্যবধানে বাজারে মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। আলোচিত এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর উত্থান হয়।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, আজ ডিএসইতে লেনদেন হয় দুই হাজার ১০ কোটি আট লাখ টাকা। এর আগে গত ২০২২ সালে ২০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আলোচিত এদিন পুঁজিবাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ১৩ হাজার ৩৫২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার মূলধন ছিল সাত লাখ তিন হাজার ৯১৩ কোটি আট লাখ টাকার শেয়ার। একদিনের ব্যবধানে বাজারে মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত ৪ আগস্ট (রোববার) পুঁজিবাজার মূলধন ছিল ছয় লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার। চারদিনের ব্যবধানে বাজারে মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ৬৭ হাজার ৯০৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
আজ সূচক ডিএসইএক্স ৯১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৫ দশমিক ৯০ পয়েন্টে। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছিল পাঁচ হাজার ৯২৪ দশমিক ৮১ পয়েন্টে। আজ ডিএসইএস সূচক ১০ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৮৫ দশমিক ২৭ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস৩০ সূচক ৫১ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৮৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির ও কমেছে ২০৭টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ২০টির।
লেনদেনের শীর্ষে এদিন উঠে এসেছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এদিন দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে এবিবি ফার্স্ট ফান্ডের শেয়ার। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। দর কমার শীর্ষে উঠে এসেছে আইসিবি তৃতীয় এনআরবির শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে পাঁচ দশমিক ২৬ শতাংশ।