চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে, লাভের দেখা পাননি ব্যবসায়ীরা
এ বছরও বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকে কিছুটা কম দামেই কোরবানির পশুর চামড়া কিনছেন আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা। এজন্য রাজধানীর পাড়া-মহল্লা থেকে চামড়া কিনে এনে লোকসান গুনেছেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। তবে গত বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর চামড়ার কিছুটা ভালো দাম পেয়েছেন সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর পাড়া-মহল্লার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মূলত ফড়িয়া এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীরাই কোরবানির পশুর চামড়া কিনেছেন। অনেকেই আবার চামড়া মাদ্রাসায় দান করে দিয়েছেন।
এসব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কিংবা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে আসেন রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে বসা কাঁচা চামড়ার অস্থায়ী বাজারে। বিশেষ করে সাইন্সল্যাব এবং ঢাকেশ্বরী মোড় থেকে তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনেন ট্যানারি এবং আড়তমালিকরা। চলে হরদম দর-কষাকষি আর বেচাকেনা।
বেশিরভাগ মৌসুমি ব্যবসায়ীর দাবি, লোকসানে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে তাদের।
একজন বিক্রেতা (৪৫) ক্ষোভ প্রকাশ করেই বলেন, ‘সম্পূর্ণভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হচ্ছে। গরিবের হক নষ্ট করতেছেন উনারা (আড়তদার)।’
আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী (৩০) বলেন, ‘আমরা যারা মৌসুমি ব্যবসায়ী আছি, সরকার যে বাজেটটা দিছে; ওই দামটি আমরা পাচ্ছি না।’
তবে ট্যানারি এবং আড়তমালিকরা বলছেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনে এনেছেন।
সাইন্সল্যাবে একজন ব্যবসায়ী (৪৫) বলেন, ‘এরা মৌসুমি ব্যবসা করে। চামড়ার দাম আছে। চামড়ার সাইজ কত বা কোয়ালিটি কী এসব নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। চামড়ার কোয়ালিটি অনুযায়ী আমি ক্রয় করব। এর বাইরে আমি যাব না।’
আরেক ব্যবসায়ীও বললেন, আজকে যারা ব্যবসা করতেছে, এরা মৌসুমি ব্যবসায়ী।
করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার কিছুটা মন্দা থাকায় বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনার চেষ্টা করছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
‘কাঁচামালটা এখন আমরা যেভাবে খরিদ করতেছি, দেখা গেল আমাদের আরও অনেক খরচ আছে। সেই খরচসহ সবকিছু একত্রিত হয়ে আমাদের সরকারি রেটের মধ্যে থাকবে’, যোগ করেন একজন চামড়াক্রেতা।
আরেক ষাটোর্ধ্ব ব্যবসায়ী বললেন, ‘সরকারি দামের মধ্যেই তো কেনা হচ্ছে। তবে কিছুটা বেশি দিতেই হয়।’
তবে চামড়ার দামের প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে, রাজধানীর আশপাশের সব এলাকা থেকে চামড়া আসার পরেই।