ডিজিটাল ইকোনোমি আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে, যাদের উপস্থিতি থাকলেও করের দৃষ্টিকোণ থেকে অংশগ্রহণ নেই। আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ‘ট্যাক্সিং দ্যা ডিজিটাল ইকোনোমি : ট্রেডি-অবস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ডিজিটাল ইকোনোমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি, যাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু রাজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নেই। সে বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যৌক্তিকভাবে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় সেটাও দেখতে হবে।’
আলোচনায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, ‘আগে আমাদের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত কেন কম হচ্ছে, কোথায় কোথায় লিকেজ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় কেন বাড়ছে না, সেটা জাতীয় সংসদেও আলোচনা হওয়া দরকার।’ ‘লিকেজগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হওয়া দরকার। সিপিডিও এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে’ উল্লেভ করে সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করলাম, কিন্তু টোল আদায়ের দায়িত্ব দিলাম বিদেশিদের। কেন? আমি খরচ অনেক বৃদ্ধি করেছি, কিন্তু আয়ের উৎস কেন বাড়ছে না, সেই হিসাব মেলাতে হবে।’
‘ফেসবুক ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিষয়ে নীতিমালা দরকার’ বলে মন্তব্য করেন ফাহমিদা।
এনবিআর সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ডিজিটাল ইকোনোমির সঙ্গে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকি, লেখালেখির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনেকটা বিশেষ ক্ষমতা আইন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন, ডিজিটাল কথাটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা সাইবার সিকিউরিটি আইন হতে পারে।’