তরুণ স্থপতিদের পৃষ্টপোষকতা করবে কেএসআরএম

দেশের তরুণ ও মেধাবী স্থপতিদের গবেষণায় পৃষ্টপোষকতা করবে বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) লিমিটেড। স্থপতিদের উৎসাহ প্রদানে চালু করেছে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস : বেস্ট আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস’। কীর্তি শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
এজন্য সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস (আইএবি) ও কেএসআরএম-এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির মেয়াদ ১০ বছর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আইএবি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএম-এর মার্কেটিং উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. শহিদুর রহমান, প্রধান মার্কেটিং ম্যানেজার কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, স্থপতি মামনুন মোর্শেদ চৌধুরী, প্রোগ্রাম সমন্বয়ক স্থপতি আরেফিন ইব্রাহিম, কেএসআরএম-এর গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইএবি-এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান স্থপতি শেখ ইতমাম সৌদ, কেএসআরএম-এর সহকারী ম্যানেজার এহসান রহমান প্রমুখ।
কেএসআরএমের মার্কেটিং উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শাহিদুর রহমান বলেন, একটি পরিকল্পিত নগর তথা দেশ গড়ার কারিগর হচ্ছেন স্থপতিরা। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের কাজের স্বীকৃতি এবং নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ প্রদান করাই আমাদের উদ্দেশ্য। কেএসআরএম এ উদ্যোগের থাকতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে আইএবির পক্ষ থেকে স্থপতি মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, স্থপতিদের কাজ হলো শুধু স্থাপন করা নয়; বরং পরিকল্পিতভাবে নির্মাণের মাধ্যমে খালি জায়গা তৈরি করা। সেইসঙ্গে পরিবেশ তৈরি করা। দেশে ২৭ প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে পড়াশুনো করানো হয়। এর মধ্যে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
এই স্থপতি জানান, আইবিএ স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেছে কেএসআরএম-এর অ্যাওয়ার্ডস। পেশাগত জীবন শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের গবেষণাপত্র আহ্বান করা হয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানসম্পন্ন তিনটি গবেষণাপত্র জমা নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৮টি প্রজেক্ট জমা হয়েছে। এ নিয়ে জুরিবোর্ড বাচাইপর্ব শুরু করেছে। মূল্যায়ন শেষে চূড়ান্ত গবেষণা প্রকল্পগুলো অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হবে।
গবেষণা পত্রগুলোকে অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে স্বীকৃতির পাশাপাশি সম্মাননা জানানো হবে তত্ত্বাবধানকারী শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও। এ ছাড়া গবেষণা পত্রগুলো প্রদর্শন করা হবে। প্রথম পুরস্কার অর্জনকারীকে নগদ এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ীকে ৭৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে জানান স্থপতি মামনুর রশীদ।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এ অ্যাওয়ার্ড উপলক্ষে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরোয়ার জাহান ও আইএবির সভাপতি স্থপতি জালাল আহমদ।