বেশি দামেও বাজারে চিনির সংকট
সরবরাহ স্বল্পতার কারণে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। গতকাল বুধবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই। ব্যবসায়ীরা জানায়, গত মাসের শেষ দিকে ঈদুল ফিতরের পর থেকে চিনির সরবরাহ নেই। পাইকারি কোম্পানিগুলো সরবরাহ কম হওয়ায় সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির জন্য প্রতি কেজি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে। যদিও ভোক্তারা, যদিও, এই মূল্যের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে। খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি কমই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি খোলা চিনির জন্যও ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বেড়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির উচ্চমূল্যের জন্য সরবরাহ স্বল্পতাকে দায়ী করছেন। যা অভ্যন্তরীণ সরবরাহকে প্রভাবিত করছে। তারা বেশি দামে আমদানি করতে যাবে কি না সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। দাম বেশি হওয়ায় তারাও আমদানি কমিয়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে চিনির দাম ১৫ শতাংশ বেড়েছে, এক বছরে তা বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।
কারওয়ান বাজারের চাঁদপুর স্টোরের সালমত সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি পর্যায়ে কেনা খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকার বেশি। তারপরও ডিলাররা ক্রয় রশিদ দিচ্ছেন না।’