সয়াবিন তেলের পর বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
তেল নিয়ে তেলেসমাতির পর এবার হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আলু ও ডিমের দাম। হঠাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যগুলোর দাম বাড়ায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। আড়তগুলোতে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা কেজিতে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। অথচ দুই-তিন দিন আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ কেজিপ্রতি খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে বলে ভোক্তাদের ভয় দেখাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের কথায় সে কথার সত্যতাও পাওয়া গেছে।
কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী জিয়াউল ইসলাম জানান, ভালো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৪৫ টাকায়। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৪০ টাকায়। দুদিন আগেও এ পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৩০-৩৫ টাকায়। আজ যদি পেঁয়াজ না কেনেন, তবে আগামীকাল আরও বেশি দামে কিনতে হবে।
কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী সফিকুল বলেন, সরকার নতুন করে পেঁয়াজের আইপি দিচ্ছে না। ফলে নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি স্থলবন্দরের কাছাকাছি যেসব পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রয়েছে, তারা পেঁয়াজ মজুত করে এখন পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে আইপি আপাতত বন্ধ রেখেছে। তার মতে, এখনো ৫০ শতাংশ পেঁয়াজ কৃষকদের হাতে রয়েছে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কৃষকরা তাদের মূল্য পাবেন। কারণ কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদন করতে ২৭ টাকা খরচ হয়েছে। মৌসুমের সময় ১৭-২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সরকারই পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কোনোভাবে যেন ৩৫ টাকার বেশি না হয়, সেই দিকে আমরা খেয়াল রাখছি। অর্থাৎ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে যাতে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়। পেঁয়াজের পাশাপাশি আলুর দামও কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা।
এদিকে ১১ মে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া আলু আজ রাজধানীতে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এ ছাড়া লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। যা দুই দিন আগেও ছিল ১০৫ টাকা ডজন। অর্থাৎ ডিমের দাম হালিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।