একদিনে বিক্রি হলো ওয়ালটনের লক্ষাধিক ফ্রিজ

আগস্ট মাসের প্রথম দিনেই এক লাখের বেশি ফ্রিজ বিক্রি করেছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
একদিনে এত ফ্রিজ বিক্রির আর কোনো নজির দেশে নেই বলে দাবি করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। তারা এটিকে রেকর্ড হিসেবে উল্লেখ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তারা পাঁচ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফ্রিজ ঈদ উপলক্ষে বিক্রি হতে পারে বলেও আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১ আগস্ট তাঁদের ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৪৬৯টি। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে একদিনে সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার। উচ্চ গুণগত মান, সাশ্রয়ী মূল্য, পণ্যের সর্বোচ্চ গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি এবং সেরা বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে বাংলাদেশের মানুষের প্রথম পছন্দের ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
এর আগে গত বছরের কোরবানি ঈদের আগে সারা দেশে প্রায় চাখ লাখ ফ্রিজ বিক্রি করেছিল ওয়ালটন। সে হিসেবে এবার গতবারের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি অর্থাৎ পাঁচ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রমজান মাসের পর থেকেই উৎপাদন ও বিপণনে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। গাজীপুরে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। বিপণন প্রক্রিয়ায়ও নেওয়া হয়েছে আধুনিক ও কৌশলগত পরিকল্পনা। পণ্যতালিকায় যুক্ত হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ, টেম্পারড গ্লাস ডোরসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের অসংখ্য নতুন মডেলের ফ্রিজ।
বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজ দেশব্যাপী সকল শ্রেণির গ্রাহকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে, এবারের কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে একদিনেই এক লাখের বেশি ফ্রিজ বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। এটি ওয়ালটনের জন্য যেমন রেকর্ড, তেমনি স্থানীয় বাজারে দেশীয় ব্র্যান্ডের জন্যও একটি সুখবর। উচ্চ গুণগতমানের দেশীয় পণ্যের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা যে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি তারই প্রমাণ।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিমাণে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। আর এই সময়ে কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই কোরবানির ঈদকেই ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম ধরা হয়। অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে ডিপ ফ্রিজ বিক্রিও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই বাড়তি চাহিদার সিংহভাগ পূরণে বদ্ধ পরিকর ওয়ালটন।
ওয়ালটন বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, দেশেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চ প্রযুক্তির ফ্রিজ উৎপাদন এবং তা সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারজাত করার মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ওয়ালটন। এককভাবে সবচেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয় ওয়ালটনের। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তার প্রমাণ হলো- চলতি মাসের প্রথম দিনেই এক লাখের বেশি ফ্রিজ বিক্রির রেকর্ড।
ফ্রিজ বিক্রির এই রেকর্ড স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের জন্য এক বিশাল মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন ওয়ালটন বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার। তিনি বলেন, এ ধরনের অর্জন ওয়ালটনকে গ্রাহকদের জন্য আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি ও বৈচিত্র্যময় মডেলের পণ্য উদ্ভাবনে অনুপ্রেরণা দেবে। আসন্ন ঈদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা জানান, ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ফ্রিজ উৎপাদন করায় দেশে একমাত্র ওয়ালটন ফ্রিজই পেয়েছে দেশের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই এর ফাইভ স্টার রেটিং সনদ। বাংলাদেশের জন্য ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সংরক্ষণের নিশ্চয়তায় তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড স্বীকৃত এবং আইএসও সনদপ্রাপ্ত NUSDAT-UTS ল্যাব থেকে মান যাচাই করে বাজারজাত করা হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। মান নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি। যার প্রেক্ষিতে, সর্বোচ্চ গুণগতমানের নিশ্চয়তায় গ্রাহকদের ওয়ালটন ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে। কম্প্রেসারে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধাও দিচ্ছে ওয়ালটন।