বন্যার্তদের জন্য গ্রামীণফোনের ১০ কোটি টাকার ত্রাণ

সারাদেশের বন্যার্তদের জন্য ১০ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) মাধ্যমে এ ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
আজ রোববার গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিডিআরসিএসের সহায়তায় গ্রামীণফোন ২৩ আগস্ট থেকে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। আগামী কয়েক সপ্তাহে ৫৩ হাজারের বেশি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা ও ১২ হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ১০০ বন্যার্ত পরিবারকে ১৫ দিন চলার মতো খাদ্য সামগ্রী, পাঁচ জেলায় পাঁচ হাজার ৬৩২ পরিবারকে ৪৪ হাজার ৩৪৫ লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি ও এক হাজার ৬৭৩ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গ্রামীণফোনের কর্মীরাও বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন, যা কোম্পানির দেওয়া অর্থের সঙ্গে যোগ করে ত্রাণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণফোন কর্মীরা ত্রাণ বিতরণে বিডিআরসিএসকে সহায়তা করছেন। গ্রামীণফোন দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিষ্ঠানটি তার সামাজিক দায়িত্বশীলতার অংশ হিসেবে বছরের শুরু দিকে সিলেটে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোরা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিধসের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করেছে।
গ্রামীণফোনের কর্মীরা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে নেটওয়ার্কের সেরা মান বজায় রাখতে দিন রাত অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ছয় কোটিরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন, যার মাধ্যমে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘চলো বহুদূর’-এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।